রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর চাপ বাড়াল আমেরিকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোল্লাই দেওয়ার সুরে মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে মোদী বড় ভূমিকা নিতে পারেন। তবে, তিনি কতটা প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন, সেটা সম্পূর্ণই তাঁর ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত যোগাযোগের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমন্বয়কারী জন কার্বি হোয়াইট হাউসে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন।
১০ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন কার্বি। সেখানেই তিনি একথা বলেন। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ ইতিমধ্যেই একটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক নিয়ে কার্বিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে কার্বি মোদীর প্রসঙ্গে টেনেছেন। প্রকারান্তরে যা মোদী সরকারের ওপর রাশিয়ার চাপ সৃষ্টি ছাড়া অন্য কিছু নয় বলেই বিভিন্ন মহলের মত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে কি এখনও যথেষ্ট সময় আছে? এই প্রশ্নের জবাবে কিরবি বলেন, 'ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উদ্দেশ্য পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শেষ করার যে কোনও প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাবে।' কিরবি বলেন, 'আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের হাতে যুদ্ধ বন্ধ করার মত এখনও যথেষ্ট সময় আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি কোনও চেষ্টা করতে চান, তবে তাকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাব।'
আরও পড়ুন- ‘ভারত ইসলামের জন্মস্থান, শেষ নবি তাকে পূর্ণতা দিতে এসেছিলেন,’ উত্তেজক বক্তৃতা মাদানির
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একটি শান্তি চুক্তির জন্য একাধিক দাবি তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে প্রথমটি হল, রাশিয়াকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে তার সমস্ত সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। ইউক্রেনের যে অঞ্চল রাশিয়া ইতিমধ্যে দখল করে নিজেদের ভূখণ্ড বা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বানিয়ে ফেলেছে, সেটাও ইউক্রেনকে ছেড়ে দিতে হবে। আর, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের মালিকানাও ইউক্রেনের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই বিতর্কিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ অঞ্চল ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের থেকে ছিনিয়ে দখল করে রেখেছে।
Read full story in English