ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায় কাল আসন্ন। তবে সদ্য যে অভ্যন্তরীণ নথি প্রকাশিত হয়েছে তা দেখে কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। জানা গিয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে ভারতকে কীভাবে সঙ্গী হিসেবে রাখা যাবে সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে এমন একটি কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে যেখানে চিন বিরোধী সমমনস্ক দেশগুলিকে নিয়েই কাজ করা হবে। নি:সন্দেহে ভারত সেখানের 'শক্তিশালী খেলোয়াড়'।
নয়া দিল্লিরও "সুরক্ষা ইস্যুতে পছন্দের অংশীদার" ওয়াশিংটন। যে নথি প্রকাশিত হয়েছে তা ট্রাম্প প্রশাসনের চিন্তাভাবনার একটি অংশ। এখন ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণকারী জো বাইডেন প্রশাসন যাতে এই বিষয় সহযোগিতা বজায় রাখে সে বিষয়ে ভারতও নজর রেখেছে।
প্রসঙ্গত, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) ঘোষণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প; এর প্রধান অংশীদার দেশ হলো—ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। এই অঞ্চলে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোও অর্থনৈতিক সৃমদ্ধির পথ হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিকে গ্রহণ করেছে। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয়লাভের পর ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এর কারণ হলো জো বাইডেন বা তার পররাষ্ট্র উপদেষ্টারা কেউ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে গোটা নির্বাচনি সময়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা ম্যাট পোটিনগার 'বিদেশি নাগরিকদের জন্য নয়' এবং 'গোপন তথ্য' হিসেবে ৫ জানুয়ারি এই নথিটি ঘোষণা করেন। "ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য মার্কিন কৌশলগত কাঠামো" শীর্ষক এই নথিতে ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বাধিক শক্তিশালী এবং ভারত মহাসাগরের সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণের শীর্ষে রাখা হয়েছে।
এমনকী চিনের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে কড়া প্রতিরোধ গড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য সহযোগী এবং অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা এবং কূটনৈতিক সহযোগিতা প্রসারিত করে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যও নিয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন