হোয়াইট হাউসের অন্দরমহলে পৌঁছে গিয়েছিল করোনার থাবা। একজন কর্মী মারণ ভাইরাসের কবলেও পড়েন। তারপরেই তড়িঘড়ি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই পরীক্ষায় স্বস্তি জুগিয়ে দুজনেরই নমুনা নেগেটিভ এসেছে।
ওভাল অফিসে টেক্সাসের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। নিজের ভাইরাস পরীক্ষার কথা বলেন এরপরেই।
ঘটনাচক্রে মাইক পেন্স তো বটেই ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো মাস্ক ছাড়াই সেই বৈঠক করেছিলেন। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাঁদের সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের নিয়মিত পরীক্ষাও করা হচ্ছে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বারেবারেই উঠে এসেছেন ওয়েস্ট উইংয়ের কর্মী, সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট এবং অতিথিরা। মাস্ক না পড়ার কারণে।
ট্রাম্প বলেন, "যাই করা হোক না কেন, টেস্টিং পুরোপুরি সঠিক নয়। তাই আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে নমুনা পরীক্ষা করে থাকি। তা সত্ত্বেও যে কোনো ব্যক্তি প্রতিদিন পরীক্ষা করলেও যেকোনো সময় সংক্রমিত হতে পারেন। সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সামান্যই আমার সংযোগ ঘটেছে। উনি ভালো ব্যক্তি। তবে ওঁর সংক্রমণ ধরা পড়াটা কিছুটা অদ্ভুত।"
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "হোয়াইট হাউসের মেডিক্যাল ইউনিটের পক্ষ থেকে সম্প্রতি আমাদের জানানো হয়েছে, হোয়াইট হাউসের একজন কর্মী যিনি আবার সামরিক বাহিনীর সদস্য, তাঁর নমুনায় করোনা পজিটিভের সন্ধান মিলেছে। এরপরে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ওঁরা দুজনেই নেগেটিভ এবং সুস্থ রয়েছেন।"
এপ্রিলের ৩ তারিখে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, প্রেসিডেন্টের সংস্পর্শে যাঁরা আসেন তাদের রাপিড করোনা পরীক্ষা করা হবে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে ট্রাম্পের পাশে যাঁরা ছিলেন প্রত্যেকেরই পরীক্ষা করা হয়েছিল। একজন অতিথি বেশ কয়েকবার কাশছিলেন।
করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন বারেবারেই সমালোচনার মুখে পড়েছে। এরিজোনায় মাস্ক কারখানায় ভিজিট করার সময় চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্পকে দেখা গিয়েছিল সতর্কতা ছাড়াই ঘুরছেন তিনি। তারপরে একাধিক মহলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেওয়া হয় মাস্ক ব্যবহার করার জন্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন