এমডিএইচ ও এভারেস্টের ঝামেলা আরও বাড়ল। ৩১ শতাংশ মশলা ফেরত দিল আমেরিকা। হংকং এবং সিঙ্গাপুর কিছু মশলায় ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রারিক্ত উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে এভারেস্ট এবং MDH মশলাকে নিষিদ্ধ করেছে। এবার সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ৩১ শতাংশ মসলা ফেরাল আমেরিকা।
হংকং এবং সিঙ্গাপুরে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বড় মশলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর কিছু মশলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব কোম্পানির কিছু মসলার মিশ্রণে ইথিলিন অক্সাইডের মতো কীটনাশক পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়েছে। এর পর ভারতেও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। এদিকে, ভারত থেকে ইউরোপে রপ্তানি করা ৫ শতাধিক পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর মাঝেই ৩১ শতাংশ মশলা ফেরত দিল আমেরিকা।
ইথিলিন অক্সাইড ছত্রাক থেকে পণ্য রক্ষা করতে চাষে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ এর কারণে মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৯৯১ সালে ইথিলিন অক্সাইড নিষিদ্ধ করেছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফুড সেফটি অথরিটি সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২৪ এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা খাদ্য সামগ্রী পরীক্ষা করেছে তাতে দেখা গিয়েছে ৫২৭ টি পণ্যে কার্সিনোজেনিক ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি রয়েছে।
এর আগে ২০২০-২০২১ সালেও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারত সহ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে আমদানি করা ৪৬৮ পণ্যে ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিল। হংকং ও সিঙ্গাপুরের পর মালদ্বীপও এভারেস্ট ও এমডিএইচ মশলা বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। মালদ্বীপ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (এমএফডিএ) জানিয়েছে যে ভারতে উৎপাদিত দুটি ব্র্যান্ডের মশলায় ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, গত ছয় মাসে, মার্কিন কাস্টমস কর্মকর্তারা MDH-এর মসলার ৩১শতাংশ ফিরিয়ে দিয়েছে। গত বছরে এই পরিমাণ ছিল ১৫ শতাংশ।
এমডিএইচ মসলা নিয়ে যে বিষয়টি শুরু হয়েছিল তা বাড়ছে। সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে MDH-এর ওপর পদক্ষেপের পর ভারতীয় মসলার সংকট বাড়ছে। ভারতীয় মসলা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমডিএইচ এবং এভারেস্টের কিছু পণ্য নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের পরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও গত ছয় মাসে MDH-এর রপ্তানি করা ৩১ শতাংশ প্রত্যাখ্যান করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এমডিএইচ এবং এভারেস্ট মশলায় এ ধরনের কীটনাশকের উপস্থিতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এমডিএইচ ও এভারেস্ট এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে। মঙ্গলবার এভারেস্ট বলেছে যে এর মশলা খাওয়ার জন্য নিরাপদ।
সংস্থা আরও বলেছে যে ভারতের মসলা বোর্ডের পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র এবং অনুমোদন পাওয়ার পরেই এর পণ্যগুলি রপ্তানি করা হয়েছিল। "কোম্পানির পক্ষ থেকে X-এ একটি পোস্ট জারি করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছিল যে MDH পণ্যগুলি সম্পুর্ণ ভাবে নিরাপদ। সংস্থা তার বিবৃতিতে বলেছে যে তারা হংকং এবং সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে কোনও তথ্য পায়নি।