Advertisment

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের গর্ভপাত রায় লিঙ্গ সমতা বিরোধী, কঠোর সমালোচনা রাষ্ট্রসংঘের

আমেরিকার বেশ কিছু রাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। কিন্তু, নতুন রায়ে রাজ্যগুলোর ওপরই নাগরিকের গর্ভপাতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেওয়া হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
usa_supreme_court

গর্ভপাতের বিষয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায় নারীর মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতার ওপর 'বিশাল আঘাত'। এমনটাই মনে করছেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান। শুক্রবার এক ঐতিহাসিক রায়ে, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ৫০ বছর আগেকার রো বনাম ওয়েড মামলার রায়কে বাতিল করেছে। আগের রায়ে গর্ভপাতকে সমর্থন করা হয়েছিল।

Advertisment

সেই রায়ই বাতিল করেছে আদালত। এনিয়ে বিবাদ ছিল। কিন্তু, শেষপর্যন্ত জুরিদের ৬-৩ ভোটে পুরনো রায় বাতিল হয়েছে। আমেরিকার বেশ কিছু রাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। কিন্তু, নতুন রায়ে রাজ্যগুলোর ওপরই নাগরিকের গর্ভপাতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, 'পাঁচ দশকের মার্কিন নারী সুরক্ষা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধাক্কা খেল। ডবস বনাম জ্যাকসন মহিলা স্বাস্থ্য সংস্থার ক্ষেত্রে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নারীর মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতার ওপর চরম আঘাত হানল।' তিনি জানান, নিরাপদ, আইনি এবং কার্যকর গর্ভপাতের অনুমোদন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনেই আছে। যা দৃঢ়ভাবে নারী ও মহিলাদের স্বায়ত্তশাসন, বৈষম্য, সহিংসতা এবং জবরদস্তিমুক্ত শরীর, জীবন এবং পছন্দের স্বীকৃতি দেয়।

ব্যাচেলেট বলেন, 'মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় লক্ষ লক্ষ মার্কিন নারীর সেই স্বায়ত্তশাসন আর অধিকার কেড়ে নিল। বিশেষ করে যারা নিম্ন আয়ের এবং যারা জাতিগত সংখ্যালঘু, তাদের ক্ষেত্রে এই রায় এক বড় আঘাত। এটা সেই নারীদের মৌলিক অধিকারের ক্ষতি করল। এর আগে ৫০টিরও বেশি দেশ গত ২৫ বছরে গর্ভপাত আইনকে উদার করেছিল। সেই অবস্থান থেকে কয়েক যোজন পিছিয়ে দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়।'

আরও পড়ুন- মৃত ঘোষণার পর গ্রেপ্তার মুম্বই হামলার অন্যতম ‘মাস্টার মাইন্ড’ সাজিদ মীর

সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিবছর আড়াই কোটি অনিরাপদ গর্ভপাত ঘটে এবং তাতে অন্তত ৩৭ হাজার মহিলা মারা যান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিভাগের প্রধানের আশঙ্কা, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশের পর এই গোপনে গর্ভপাতের চেষ্টা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে।

Read full story in English

supreme court Human Rights USA
Advertisment