চরম ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করল আমেরিকা। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-য়ের তহবিলে সর্বাধিক অনুদান প্রদানকারী রাষ্ট্র হল আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার জানিয়েছেন, হু-য়ের বরাদ্দ অর্থ অন্য সংস্থাকে দেওয়া হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, 'আমেরিকা বছরে হু-কে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়ে থাকে। সেই তুলনায় চিন দেয় মাত্র ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু, প্রথম থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিন দ্বারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও চিন নির্ভরতা কাটিয়ে উঠে অতিমারী রোধে প্রয়োজনীয় সংস্কার করেনি তারা। তাই এই সংস্থার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে।'
বিশ্বব্যাপী করোনা সংকট দেখা প্রকট হওয়ার পর থেকেই হু-য়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসেই সংস্থার অনুদান বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। করোনা অতিমারী নিয়ে চিনের দেওয়া দেওয়া 'ভুল তথ্য' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হু-কে সতর্ক করে বলেছিলেন, '৩০ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক কোনও পদক্ষেপ না করলে সদস্যপদ প্রত্যাহারের কথা ভাববে আমেরিকা। তবে, আমেরিকার অভিযোগকে নস্যাৎ করেছে চিন। বেজিং জানিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত সব তথ্যই 'স্বচ্ছতার' সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘করোনাকে রুখে মানুষের প্রাণ বাঁচানোই লক্ষ্য’, ট্রাম্পের অনুদান বন্ধের পাল্টা জবাব হু’র
করোনার পাশাপাশি, হংকং ইস্যুতেও এদিন চিনকে বিঁধেছেন মর্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবার থেকে চিনের মূল ভূখণ্ডের মতোই হংকং সমান মর্যাদা পারে। হংকংয়ের স্বশাসন খর্ব করা নিয়েও চিনের বিরুদ্ধে সরব হন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'এক দেশ, দুই নীতির কথা বলেছিল চিন, কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি। হংকংয়ের স্বশাসনকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি চিন রাখেনি। ফলে হংকংয়ের গৌরব খর্ব হচ্ছে। যা সেখানকার মানুষের জন্য় খুবই দুঃখজনক।' ট্রাম্প জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরেই বিশেষ কয়েকজন চিনা নাগরিককে আমেরিকায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন