ভারত সহ পাঁচটি দেশকে রবিবার ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে , ইরানের থেকে তেল রফতানি করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জরিমানা দিতে হবে এখন থেকে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দিল্লিকে জানানো হয়েছে পুলওয়ামা হামলার সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন প্রশাসন, তাই এখন তাদের প্রত্যাশা ইরানের সন্ত্রাসবাদ দমনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ভারত।
তবে চাবাহার বন্দর তৈরির কাজ যেমন চলছে, তেমনই চলবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের যে সমস্ত পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হয়, তাদের মধ্যে অপরিশোধিত তেল প্রধান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, তেল রফতানি করে যে পরিমাণ মুনাফা হয় ইরানের, তার অধিকাংশই খরচ হয় হামাস এবং হেবজোল্লাহর মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে মদত দিতে।
ইরানের কাছ থেকে তেল রফতানির ক্ষেত্রে পাঁচটি দেশ মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে জরিমানা বা শাস্তি মকুবের যে অনুমতি পায়, তা এবার তুলে নেওয়া হবে, এরকমই এক ঘোষণা করতে চলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পিও। জরিমানা মকুবের বর্তমান চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ মে।
আরও পড়ুন, এন ডি তিওয়ারির পুত্র হত্যায় দোষ স্বীকার স্ত্রী-র
মার্কিন প্রশাসন জরিমানা বা শাস্তি মকুবের চুক্তি পুনর্নবীকরণের পথে যাবে না, এমন খবর প্রথম প্রকাশিত করেছিল ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’। সূত্রের খবর, গত শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের ওপর চাপ (বিদেশে তেল রফতানি করে ইরানের মুনাফা যাতে না বাড়ে) বাড়াতেই আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত। অনুমান করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন এই সিদ্ধান্তের ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে পারে প্রায় তিন শতাংশ।
মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তেল রফতানিতে নতুন শর্ত চাপানোয় চাহিদার উপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব তেল উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের ফলে যে প্রভাব পড়তে চলেছে তেলের বাজারে, তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত দেশ, জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার।
Read the full story in English