অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই শীর্ষ আদালতের মুখ্য বিচারপতির আসনে বসতে চলেছেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। বর্তমান প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র অবসর নেবেন আগামী ২ অক্টোবর। পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে রঞ্জন গগৈ-এর আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পদ্ধতি সম্পন্ন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
বর্তমানে বিচারপতি দীপক মিশ্রের পরে রঞ্জন গগৈ-ই সবচেয়ে প্রবীণ। ২০১৯ এর ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষ হবে গগৈ-এর।
১৯৫৪ সালের ১৮ নভেম্বর জন্ম। ১৯৭৮ সালে আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হয় গগৈ-এর নাম। দীর্ঘদিন গুয়াহাটি হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন রঞ্জন গগৈ। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটি আদালতের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ২০১০ সালে। ২০১১ সালে ওই আদালতের মুখ্য বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে রঞ্জন গগৈ নিযুক্ত হন ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল। তিনি হবেন সুপ্রিম কোর্টের ৪৬ তম প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন, বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা মামলা: ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
পেশাগত জীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার ভার এসছে তাঁর ওপর। লোকপাল ও লোকায়ুক্তের মতো বিল নিয়ে মামলা , আবার কখনও সরকারি বিজ্ঞাপনে রাজনৈতিক নেতাদের ছবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, বিচারপতি কারনানের মামলার কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
এ বছরের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের যে চার বিচারপতি শীর্ষ আদালতের প্রশাসনিক পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন, বিচারপতি গগৈ ছিলেন তাঁদের অন্যতম। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের বক্তব্য ছিল, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়া অন্য যে বিচারপতিরা ওই সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন, তাঁরা হলেন, বিচারপতি জে চেলেমেশ্বর (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), বিচারপতি এম বি লোকুর এবং বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আয়োজিত রামনাথ গোয়েঙ্কা স্মারক বক্তৃতায় গত জুলাইতেই বিচারপতি গগৈ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, "'গোলমাল পাকানো' বিচারক এবং ’স্বাধীন চিন্তা সম্পন্ন সাংবাদিক’, এই দুটি যে কোনও গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র"। তিনি আরও বলেছিলেন, " সমাজের সঙ্গে তাল রাখতে গেলে দেশের বিচার ব্যবস্থাকেও পাল্টাতে হবে, শুধু সংস্কারে কিছু হবে না, প্রয়োজনে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে"।