অস্তিত্বহীন এক ব্যক্তিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রমাগত চলছিল ভুয়ো পোস্ট। সেই অপরাধে এবার এফ আই আর করা হলো তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, স্যোশাল মিডিয়ার ওই পোস্টগুলিতে উত্তর প্রদেশে গোন্ডা কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা গফুর খানের উল্লেখ ছিল। তবে এই নামে কোনও নেতা তাঁদের দলে নেই বলেই জানিয়েছেন গোন্ডার সিটি প্রেসিডেন্ট আব্দুল রহমান। অন্যদিকে ডিজিপি জনসংযোগ আধিকারীক রাহুল শ্রীবাস্তবও একই কথা জানান। পাশাপআশি তিনি এও বলেন, ইচ্ছেমত ফেসবুক থেকে একটি ছবি তুলে নিয়ে পোস্টগুলি করা হয়েছে। আসলে কোনও অস্তিত্বই নেই ওই ব্যক্তির।
পোস্টটি ভুয়ো প্রমানিত হওয়ার পর গোন্ডার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই তিন ব্যক্তির স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি টুইটার হ্যান্ডেল (@komal44337466) থেকে টুইট করা হয় যে "গোন্ডার এক হিন্দু মহিলা ওই কংগ্রেস নেতাকে রাখী বেঁধে দেন, এরপর সোমবার গফুর খান কোনও এক কাজের ছুতোয় বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করেন মহিলাকে। শুধু তাই নয় আঘাত করে তাঁকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেন গফুর খান।" ওই টুইটের সঙ্গে দুটি ছবিও ছিল, একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে এক মহিলা এক ব্যক্তির হাতে রাখী পরাচ্ছেন এবং অন্য ছবিতে দেখা গিয়েছে একজন আহত মহিলাকে।
আরও পড়ুন: টাডা থেকে ইউএপিএ, ভারতের সন্ত্রাস দমন আইনসমূহ
ডিজিপি-র কথায়, তদন্ত করে জানা গিয়েছে প্রথম ছবিটি গত বছর ২১ ডিসেম্বর পোস্ট করেন এক ইউজার এবং দ্বিতীয় ছবিটি ২০১৬ সালের কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত এক মহিলার ছবি। শ্রীবাস্তব জানান যে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ বা তথ্য মেলেনি।
গোন্ডা কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত অাধিকারিক অশোক কুমার সিং জানান, অঞ্জলি শুক্লা, কোমল এবং দীপক শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩ ধারা এবং ইনফরমেশন টেকনোলজির আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অশোক কুমার আরও জানান, কোমল তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে এই ভুয়ো পোস্টটি দেন এবং অঞ্জলি শুক্লা এবং দীপক শর্মা সেই পোস্ট শেয়ার করেন তাঁদের নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।