আতঙ্ক অব্যাহত! দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। গতকালের তুলনায় কিছুটা কমলেও সংক্রমণ সেই পাঁচ হাজারের ওপরেই। একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৩৫৭ জন। সেই সঙ্গে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২,৮১৪
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে ওমিক্রন XBB.1.16 ভেরিয়েন্ট। ক্রমশ মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে আরও বেশি সংক্রামক করে তুলছে ওমিক্রনের এই ভেরিয়েন্ট। ভারতে এখনও পর্যন্ত নয়া এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৩। যার মধ্যে সিংহভাগই গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে রেকর্ড করা হয়েছে। গত ১৫ মাসে ভারতে ওমিক্রনের চারশো নতুন সাব-ভেরিয়েন্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে, সমস্ত ভেরিয়েন্টের ৯০ শতাংশ হল XBB৷ XBB.1.16। মেডিক্যাল বুলেটিন অনুসারে ওমিক্রনের এই সাবটাইপে সংক্রমণের পরিমাণ মোট সংক্রমণের ৩৮.২শতাংশ।
সর্বশেষ INSACOG বুলেটিনে বলা হয়েছে যে XBB.1.16 ভেরিয়েন্টটি এখন পর্যন্ত ভারতে মোট কোভিড সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ি। XBB.1.16-ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের লক্ষণগুলি মোটামুটি একই। জ্বর, কাশি, সর্দি, সর্দি, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, কখনও কখনও পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ লক্ষিত হচ্ছে এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা বাড়িতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন তবে কারুর যদি অন্য কোন শারীরিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে রোগীকে অনেকসময় হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে। দেশে আবার মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। তবে এবারে নয়া রূপে। সংক্রমণের হার বাড়ছে তরতরিয়ে। কারণটা আর কিছুই না। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই নয়া স্ট্রেন সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই স্ট্রেনটি ওমিক্রনের দুটি রিকম্বিন্যান্ট স্ট্রেনের সংমিশ্রন। এটি হাইব্রিড প্রজাতির ভাইরাস। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে গতকালের থেকে আজ কিছুটা কমেছে সংক্রমণ। এদিকে বাড়তে থাকা সংক্রমণের মাঝে শনিবার কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক এবং অনান্য রোগে আক্রান্তদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে। তিনি রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের পর এই নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, কোভিডে মৃতের মধ্যে বেশিরভাগই ৬০ উর্ধ্ব। তাই তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার দরকার।
অন্যদিকে দেশে করোনা বাড়বাড়ন্তের মধ্যে বিদেশ ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য করোনা পরীক্ষা আবশ্যিক বলে ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। একই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর। ভিড়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনা প্রার্দুভাবের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২১.২৯ লক্ষ। পাশাপাশি রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩,৬৫১ জনের।