/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/cats-210.jpg)
উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে বিরাট দুর্ঘটনা, অলকানন্দার কাছে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে বিরাট দুর্ঘটনা। অলকানন্দার কাছে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাখণ্ডে ভারী বর্ষণের জেরে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। বৃষ্টি কিছুটা কমতেই বড় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১৫ জনের।
বুধবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে বড় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। নমামি গঙ্গে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নর্দমা শোধনাগারে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে মুহূর্তেই বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে এবং ঝলসে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, এবং অনেকে আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
#Uttarakhand | At least Fifteen people were killed and several injured after a power transformer exploded in Chamoli.
CM Pushkar Singh Dhami says, "Have called for magisterial inquiry; rescue efforts on"
Read more: https://t.co/gW3LrA44RPpic.twitter.com/FRv5pMPKJ8— The Indian Express (@IndianExpress) July 19, 2023
জানা গিয়েছে প্রকল্পটি ছিল চামলী বাজারের কাছেই। ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ে, এতেই মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ২৪ জন উপস্থিত ছিলেন। আহতদের দেরাদুনে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি নিজেও চামোলি যেতে পারেন বলেই খবর।চামোলির এসপি পরমেন্দ্র ডোভালের জানিয়েছেন, “অলকানন্দা নদীর কাছে ট্রান্সফরমারটি বিস্ফোরণের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাখণ্ডে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে, গঙ্গাসহ অন্যান্য নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। এরই মধ্যে আজ সকালে ঘটে গিয়েছে বড় দুর্ঘটনা। খারাপ আবহাওয়া এবং ভূমিধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের অনেক এলাকায় হাজার হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের অনেক জায়গায় মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগে, বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় শুধুমাত্র একটি হোটেল ভেসে গেছে, এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেই খবর। পাহাড়ি এলাকায় বাঁধ থেকে অবিরাম জল ছাড়া হচ্ছে, যার জেরে হরিদ্বার ও ঋষিকেশেও নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে। হরিদ্বারে গঙ্গার জলস্তর ২৯৩ মিটারে পৌঁছেছে, যা বিপদসীমার কাছাকাছি। এমন পরিস্থিতিতে গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়ে গেছে।