BJP leader Uttarakhand: ১৪ বছর বয়সী নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। এই খবর ছড়াতেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। হরিদ্বারে বছর ১৪-এর নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা উত্তরাখণ্ডের ওবিসি কমিশনের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রুরকি-হরিদ্বার জাতীয় সড়কের পাশ থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বিজেপি নেতাকে। উভয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা এবং গণধর্ষণ ছাড়াও POCSO আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
হরিদ্বার পুলিশ এই মামলার বিশদ বিবরণ প্রকাশ করেনি। মামলার তদন্তে পাঁচটি দল গঠন করেছে পুলিশ। হরিদ্বারের সিনিয়র পুলিশ সুপার প্রমেন্দ্র ডোভাল বলেছেন, "মামলাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত কোনও অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না, " অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে, এসপি সিটি স্বাধীন কুমার সিং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, বর্তমানে, 'এই মামলায় যাদের নাম রয়েছে তারা সন্দেহভাজন এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে'।
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগে জানান, 'অমিত সাইনি তাদের নাবালিকা মেয়েকে গত ৬ মাস ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের অজুহাতে ক্রমাগত ধর্ষণ করতে থাকে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পারলে তিনি পরিবারকে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন । গত ২৩ জুন অমিত সাইনি মেয়েটিকে প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত মেয়ে বাড়ি না ফিরলে মেয়েকে ফোন করলে অমিত সাইনি ফোন তুলে বলেন যে মেয়েটি তার সঙ্গে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর ফের ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়'।
আরও পড়ুন : < Ayodhya temple: কথা ছিল হাজার বছর মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর, মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই ‘ডাহা ফেল’ রাম মন্দির >
ঘটনায় আদিত্য রাজ সাইনি এবং অমিত সাইনির বিরুদ্ধে হত্যা এবং পকসো আইন সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলের তরফে সাসপেণ্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত নেতাকে। কংগ্রেস ঘটনাটিকে "হাড়হিম ঘটনা" বলে উল্লেখ করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেআব্রু দশার কথা তুলে ধরেছে। উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের মুখপাত্র গরিমা মেহরা দাসাউনি বলেছেন, "উত্তরাখণ্ডে মহিলাদের উপর অপরাধের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।"বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।