উত্তরাখণ্ডে ধস বিপর্যয়ের কারণ কি হিমবাহ ভেঙে পড়া? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে। ঘটনার পর এখনও বিশেষজ্ঞরা তথ্যতালাশ করার আগেই ভিন্ন মত উঠে আসছে। নয়া প্রমাণ অনুযায়ী, হিমবাহ ভেঙে পড়া নয়, কয়েক লক্ষ টন তুষার পর্বতের ঢাল বেয়ে নেমে আসাতেই বিপত্তি ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে এই তথ্য। চামোলির রেনি গ্রামের কাছে পাহাড় থেকে প্রচুর পরিমাণে বরফ ঢাল বেয়ে নেমে আসে। যার জেরে ভূমিধস হয়।
দেরাদুনের ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির গবেষক সন্তোষ রাই জানিয়েছেন, "প্রাথমিক তদন্তে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। এই বন্যার অন্যতম কারণ হিমবাহ ভেঙে পড়া নয়, বরং প্রচুর পরিমাণ বরফ গলে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে পড়ে। আমরা বিজ্ঞানীদের দুটি দল পাঠিয়েছি। তখন আরও নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে। উপগ্রহ চিত্রে আরও ধরা পড়েছে, ফেব্রুয়ারি ২ তারিখ উপত্যকায় কোনও বরফ ছিল না। কিন্তু ৫-৬ তারিখ প্রচুর তুষারপাত হয়েছে। তারপর ৭ তারিখ নতুন করে তুষারপাত হয়। যার ফলে পাহাড়ের ঢাল বেড়ে বরফ নিচে নামতে শুরু করে। নিচে নামার সময় বরফের গতি বেড়ে যায়, তারপর জল আর মাটির সঙ্গে মিশে ধসের সৃষ্টি করে।"
দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ইসরোর বিজ্ঞানী, সেনা আধিকারিক এবং আইটিবিপির আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তাঁর দাবি, ইসরোর বিজ্ঞানীরা তাঁকে যে ছবি দেখিয়েছেন তাতে কোনও হিমবাহ দেখা যাচ্ছিল না, যেখান থেকে হিমবাহ ভাঙা শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে ফাঁকা পাহাড়ই দেখা দিয়েছে। তবে তিনি এটাও জানান, ওই ছবিতে পাহাড়ের মাথায় কিছু একটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেগুলো জমে থাকা তুষার বলেই মনে করা হচ্ছে। পাহাড়ের ঢাল বেয়েই সেগুলো হুড়মুড়িয়ে নেমে আসায় হড়পা বানের সৃষ্টি হয় ঋষিগঙ্গা এবং ধৌলিগঙ্গায়।