Advertisment

হড়পা বানে দমবন্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু তপোবন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের

কাদামাটি সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকার আধ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

উত্তরাখণ্ড পুলিশ, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ের পর তপোবন সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রত্যেকেই হড়পা বানে দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চামোলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. জি এস রানা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ, হড়পা বানের জেরে কাদামাটি সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকার আধ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়। বিপর্যয়ের সাতদিন পর সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে ৬টি দেহ উদ্ধার হয়। চিকিৎসকরা মৃতদের ফুসফুস ও পাকস্থলীর মধ্যে জল ও কাদা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া ছটি দেহের ময়নাতদনন্ত করা হয়। অনুমান, নাক-মুখ দিয়ে জল-কাদা শরীরের ভিতরে যাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে দমবন্ধ হয়ে যাওয়াকে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিক। সোমবার সুড়ঙ্গ থেকে আরও তিনিট দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও পাওয়া বাকি আছে। তিন জনেরও মৃত্যুর একই কারণ হবে বলে অনুমান তাঁর। কারণ সুড়ঙ্গে জল-কাদার মধ্যে আটকে পড়েছিলেন শ্রমিকরা।

প্রসঙ্গত, রবিবারই টানা এক সপ্তাহের চেষ্টার পর কাদামাটি সরিয়ে ছটি দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন উদ্ধারকারীরা। দেহ উদ্ধারের পর অস্থায়ী মর্গ তৈরি করা হয় তপোবল সুড়ঙ্গের কাছে। চারজন চিকিৎসক ময়নাতদন্তের কাজে নিযুক্ত হন সেখানে। চামোলির পুলিশ সুপার যশবন্ত সিং চৌহান জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর সংশ্লিষ্ট দেহগুলি মৃতদের পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আরও তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৪৬ জন সোমবার পর্যন্ত নিখোঁজ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Uttarakhand disaster Tapovan Tunnel
Advertisment