Advertisment

উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়: তপোবন সুড়ঙ্গে এখনও আটকে ৩৫ জন, উদ্ধারের আশা কমছে পরিজনদের

সোমবার রাত পর্যন্ত আইটিবিপি, এনডিআরএফ এবং সেনা যৌথ প্রচেষ্টায় অন্তত ১৭০ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এখনও উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় তপোবন সুড়ঙ্গে আটকে ৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক।

২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত। উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ধসের জেরে সোমবার রাত পর্যন্ত আইটিবিপি, এনডিআরএফ এবং সেনা যৌথ প্রচেষ্টায় অন্তত ১৭০ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে। অধিকাংশই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক। এখনও দুজন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য আপৎকালীন কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৬টি দেহ এখনও পর্যন্ত এনটিপিসির তপোবন বিষ্ণুগাড জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে।

Advertisment

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তপোবনে ১৯০০ মিটির দীর্ঘ সুড়ঙ্গেই উদ্ধারকাজ কেন্দ্রীভূত। অনুমান, সুড়ঙ্গে এখনও ৩৫ জনের মতো আটকে রয়েছেন। ধসের জেরে সুড়ঙ্গের ২০ ফুট অংশ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে চেষ্টার কোনও কসুর করছেন না উদ্ধারকারীরা। তাঁদের আশা, সুড়ঙ্গের কয়েক শো মিটার দূরত্বের পর আটকে পড়াদের বেঁচে থাকার আশা রয়েছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেন পর্যাপ্ত রয়েছে বলে মত আইটিবিপি আধিকারিকদের।

উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "তপোবন টানেলের ভিতরে ১৩০ মিটার পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে পেরেছেন। তবে ২০০ মিটার পর থেকে পথ পরিষ্কার থাকতে পারে অনুমান। তখন কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।" ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এস আর মঞ্জুনাথ জানিয়েছেন, "রবিবার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ৮০ মিটার ভিতরে পৌঁছতে পেরেছি আমরা। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত আরও ৫০ মিটার গিয়েছি। সারারাত ধরে উদ্ধারকাজ চলছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রচুর কাদা রয়েছে। সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং পুলিশ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছে।"

এদিকে, উদ্ধারকাজ স্থল থেকে ৫০ কিমি দূরে চামোলির বদর গ্রামে ৭২ বছরের বংশীলাল নিজের ছেলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। ছেলে মহেন্দ্র কুমার ধসের দিন থেকে নিখোঁজ। এনটিপিসি প্রকল্পে হেল্পার হিসাবে কর্মরত মহেন্দ্র হয়তো সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছে বলে অনুমান। বংশীলাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, কোনও বিশেষ আশা নেই। অনেক সময় হয়ে গিয়েছে, ছেলে এখনও সুড়ঙ্গে আটকেই রয়েছে। আদৌ বেঁচে আছে কি না বোঝা যাচ্ছে না।

NDRF Uttarakhand disaster
Advertisment