Advertisment

উত্তরাখণ্ডে বাড়ছে বিপর্যয়, উদ্ধার ১৯ দেহ, গঙ্গার পার্শ্ববর্তী জেলায় জারি সতর্কতা

হরিদ্বার হৃষিকেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

উত্তরাখণ্ডের হিমবাহ ধসের জেরে রবিবার যে বিপর্যয় দেখছে দেশ তা আট বছর আগের কেদারনাথের স্মৃতিকেই উসকে দিয়েছে। মনে করা হয়েছিল সময় যত এগোবে নদীর বেগ কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে রবিবার রাতে ফের বেড়েছে নদীর জলস্তর। এখনও পর্যন্ত ১৫০ জন শ্রমিক নিখোঁজ। এর মধ্যে ১৯টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং একটি মূল সেতু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে প্রকল্পের শ্রমিকদের মধ্যে ৩০ জন কর্মী এবং দু'জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

Advertisment

ইতিমধ্যেই হরিদ্বার হৃষিকেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। উত্তর প্রদেশেও জারি হয়েছে সেই সতর্কতা। তবে কি বাংলাতেও এর আঁচ এসে পড়বে? প্রমাদ গুণতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত বলেছেন, ঋষিগঙ্গার পাঁচ কিলোমিটার নীচে তপোবন এলাকায় নির্মাণাধীন একটি এনটিপিসি প্রকল্পে ধ্বংসাবশেষের অবরুদ্ধ টানেলটিতে ৩৫ জন লোক আটকা পড়েছিল। সূত্র জানায়, আইটিবিপি ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ দল সুড়ঙ্গটিতে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আইটিবিপি কর্মীরা তপোভানের কাছে আরেকটি সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে।

জোশীমঠের এই 'হিমবাহ ধস' ঠিক কী কারণে তা এখনও জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরাও এখনও নিশ্চিত নয় যে এই বন্যা হিমবাহ ধস না তুষারধসের কারণে। দ্বিতীয় কারণটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে ভূ-বিজ্ঞানীরা। উত্তরপ্রদেশেও জারি রয়েছে সতর্কতা। জানান হয়েছে, "গঙ্গার তীরবর্তী জেলাগুলি নজরে রয়েছে। প্রয়োজনে গঙ্গার তীরে বসবাসকারীদের উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হতে পারে। উত্তরপ্রদেশের ত্রাণ কমিশনার অফিস থেকে দুর্যোগ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গঙ্গা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি উচ্চ সতর্কতা রয়েছে। জলের স্তর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সবসময়।”

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Uttarakhand
Advertisment