Kedarnath Yatra: ভারী বৃষ্টির কারণে রুদ্রপ্রয়াগ প্রশাসন তীর্থযাত্রীদের বৃহস্পতিবার তাদের কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করতে বলেছে। একই সময়ে, বুধবার থেকে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ছয়জন আহত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা রাতভর দুর্গত স্থানে অভিযান চালিয়ে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
বুধবার ভারী বৃষ্টির মধ্যে উত্তরাখণ্ডে দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং কেদারনাথ যাত্রা পথে প্রায় ২০০ জনের বেশি তীর্থযাত্রী আটকে পড়েছেন। উত্তরাখণ্ডে ১৫ জুন থেকে বৃষ্টি বিপর্যয়ে ৩০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কেদারনাথ যাত্রায় গিয়ে ভীমবলিতে আটকে পড়েছেন ২০০ জনের বেশি তীর্থযাত্রী। কেদারনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ মিটার ফুটপাথ। ফলে চলাচল করতে পারছেন না পথচারী ও তীর্থযাত্রীরা। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নেই। টানা বৃষ্টিতে কেদারনাথ ধামে মন্দাকিনী নদীর জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিল দফতরের সচিব বিনোদ কুমার সুমন জানিয়েছেন যে এই সময়ের মধ্যে সেখানে আটকে থাকা প্রায় ২০০ তীর্থযাত্রীকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও, মন্দাকিনী নদীর জলস্তর সতর্কতা স্তরের কাছাকাছি হওয়ায় সোনপ্রয়াগের পার্কিং এলাকা খালি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - < Kullu Cloud Burst: হিমাচলে ধ্বংসযজ্ঞ ! সিমলা-কুল্লুতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, নিখোঁজ ৩৬, শাহ-নাড্ডার ফোন মুখ্যমন্ত্রীকে >
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধমি বুধবার গভীর রাতে ফোনে দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে এবং অপ্রয়োজনে লোকেদের বাড়ি ছেড়ে না বেরোনোর আবেদন জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেছেন, রাজ্যের জনগণ এবং রাজ্যে আগত যাত্রীদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।