উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার অলকানন্দ নদীর উপর হিমবাহ ভেঙে যাওয়ায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফিরল ৮ বছর আগের কেদারনাথের ভয়াবহ স্মৃতি। ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে তুষারধস। নিখোঁজ প্রায় দেড়শো জন, জানাল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।এদিকে, ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে। ধৌলিগঙ্গা এলাকায় রেনি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজের জন্য শ'খানেক ITBP জওয়ানদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, "উত্তরাখণ্ডের এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির উপর আমি নজর রাখছি। ভারত উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে রয়েছে। সবার সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছি আমরা। উচ্চপদস্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে কথা বলা হচ্ছে। এনডিআরএফ মোতায়েন, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে সমস্ত খবরাখবর নিচ্ছি।"
জানা গিয়েছে আকস্মিক এই ঘটনায় গ্রামের অনেক বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। এমনকী ঋষিগঙ্গা নদীর উপর তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যাচ্ছে সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন, কারণ সেটি নির্মিয়মান ছিল। ধৌলিগঙ্গা হিমবাহ ধ্বসের কারণে তপোবনও ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানের ব্যারেজও এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এখন এই ধ্বংসযজ্ঞে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা পরিস্থিতি পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।
পর্যটকদের ভরা মরশুমে হরিদ্বার-হৃষিকেশে গঙ্গার জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা। দেরাদুনেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে চামোলির রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অলকানন্দায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি টুইটে বলেন, "উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আইটিবিপি ও এনডিআরএফের ডিজিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ট সকল আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ করছেন। এনডিআরএফ দলগুলি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের এই দেবভূমিকে সব রকম সহায়তা প্রদান করা হবে।"
জারি করা হল হেল্পলাইন নম্বর-- হেল্পলাইন নম্বর : ৯১১৩৫২৪১০১৯৭। হেল্পলাইন নম্বর : ৯১১৮০০১৮০৪৩৭৫। হেল্পলাইন নম্বর : ৯১৯৪৫৬৫৯৬১৯০
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন