বিধ্বংসী অবস্থা। গত দু'দিনের প্রবল বৃষ্টিতে জলের তলায় উত্তরাখণ্ডে বিস্তৃর্ণ অংশ। ভেসে গিয়েছে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি। কোনও মতে উচুঁ জায়গাগুলিতে মাথা গুঁজেছে মানুষ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে শুধু নৈনিতালেই প্রাণ গিয়েছে ১২ জনের।
এদিন সকালেই নৈনিতালে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বহু বাড়ি, রাস্তার। ধসে বহু পর্যটনস্থলে আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। কোশী নদীতে জলস্ফীতির কারণে রামনগর-রামসাইতে গেস্ট হাউসগুলিতে আটকে পড়া পর্যটকদের ভিড়।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্পক সিং ধামী জানিয়েছেন, কোনও মতেই যেন পরিস্থিতি নিয়ে কেউ ভীত বা সন্ত্রস্ত না হয়ে পড়েন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতি আকাশপথে পরিদর্শন করেছেন। জানা গিয়েছে বেশিরভাগ জায়গা জলমগ্ন হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গিয়েছে। এদিকে , বহু জায়গায় রাস্তার পথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রামনগরের সঙ্গে রাজ্যের বাকি তিন এলাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতেই সমস্যা বাড়তে থাকে। এদিন রুদ্রপ্রয়াগে আকাশপথে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে পৌঁছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ত্রাণের জন্য সেখানে যাবতীয় সামগ্রী মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে সেখানে যাবতীয় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে প্রশাসন।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় উত্তরাখণ্ডেরর মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে অবিরাম বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মোদী। বন্যবিধ্বস্ত রাজ্যকে সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন