জোশীমঠে বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে ঘরবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা আরও বেড়েছে। তুষারপাতের কারণে আপাতত ভাঙার কাজ বন্ধ রয়েছে। চামোলির অতিরিক্ত জেলা জেলাশাসক ললিত নারায়ণ মিশ্র বলেছেন যে আবহাওয়ার কারণে ফাটলযুক্ত ভবনগুলি ভেঙে ফেলার কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। আবহাওয়া কিছুটা ভাল হলেই ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
ইতিমধ্যেই অনেকগুলি ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। জোশীমঠে তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে জোশীমঠে ভূমিধসের ঘটনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন ভূতত্ত্ববিদরা। বরফ দ্রুত গলে গেলেই ফাটল যুক্ত ঘর বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করবে ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে জোশীমঠের বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কও ভূমিধসের কবলে পড়েছে। বদ্রীনাথ যাওয়ার একমাত্র জাতীয় সড়কের অনেক জায়গায় এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত ফাটল দেখা দিয়েছে। জোশীমঠের প্রধান বাজারে, পূর্ত দফতরের গেস্ট হাউস এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ভবনেও ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ফাটল এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত চওড়া।
রুরকি আইআইটি-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সত্যেন্দ্র কুমার মিত্তাল বলছেন, ‘জোশীমঠে তুষারপাতের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ তুষারপাতের আগে বৃষ্টির জল বাড়ির ফাটলের মধ্যে চলে গিয়েছিল। এখন বরফ গলে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে’।