/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/ie-WhatsApp-Image-2023-11-26-at-16.50.55.jpeg)
উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা-বারকোট সুড়ঙ্গে গর্ত করার জন্য ড্রিলিং মেশিন। (এক্সপ্রেস ছবি: চিত্রল খম্ভটি)
নতুন চেষ্টা
সিল্কিয়ারা-বারকোট টানেলের ধ্বংসস্তূপের পাথর কেটে ছোট সুড়ঙ্গ বানাতে দিল্লি এবং ঝাঁসি থেকে ছয় খনি শ্রমিককে আনা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ভারতীয় সেনার কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের মাদ্রাজ শাখার একটি ইউনিটকেও আনা হয়েছে। এই ইউনিট রবিবার সকালেই সুড়ঙ্গে এসে পৌঁছেছেন। পাথর খুঁড়তে গিয়ে অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ার পর ওপর থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শ্রমিকদেরকে বের করে আনার কৌশলের কথা ভাবা হয়েছে। শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ৮৬ মিটার খনন করতে হবে। তার মধ্যে ৩১ মিটার খনন ইতিমধ্যেই করা হয়েছে।
মেশিন, পাইপ সরানো
সিল্কিয়ারা টানেলের ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা অগার মেশিনের ব্লেডগুলো সোমবার ভোরে সরানো হয়েছে। এখন দেড় মিটার ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ সরানো হচ্ছে। রবিবারই অগার মেশিনের ব্লেডগুলো উদ্ধার অভিযান চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর ম্যানুয়ালি ধ্বংসাবশেষ সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ধামির দাবি
সবাই মিলে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আশাকরি, শীঘ্রই শ্রমিকদের উদ্ধার করা যাবে। সোমবার এমনটাই জানালেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষে আটকে যাওয়া অগার মেশিনটিকে বের করা হয়েছে। শীঘ্রই ড্রিলিং এবং পুশিং শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন উদ্ধার অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন।
এনডিএমএ জানিয়েছে
এনডিএমএ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে প্রয়োজনমত খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এনডিএমএ কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আতা হাসনাইন সোমবার জানিয়েছেন, প্রয়োজন অনুযায়ী আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'এসভিএনএল প্রায় ৩২ মিটার লম্বালম্বি ড্রিলিং করেছে। আরভিএনএল আরেকটি পাইপলাইনের কাজ করছে, যা লম্বালম্বিভাবে ড্রিলিং হবে। শ্রমিকদের কাছে লাইফলাইন হয়ে উঠবে। এই পাইপ ইতিমধ্যেই ৭৫ মিটার পর্যন্ত ঢোকানো হয়েছে। প্রায় ৮৬ মিটার পর্যন্ত খুঁড়তে হবে।'
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যে নজর
রোবোটিক্স এবং এআই বিশেষজ্ঞ মিলিন্দ রাজ জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের আচরণ এবং স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য একটি এআই সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। যার ডিভাইস শ্রমিকদের আচরণ ও স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখবে।
আরও পড়ুন- চিন-এ নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব কি কোভিড-১৯ এর মতই ভয়ংকর? আতঙ্কিত হু, কেন ছড়াচ্ছে সংক্রমণ?
যা ঘটেছে
গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা টানেলের একটি অংশ কাজ করার সময় ভেঙে পড়ে। সুড়ঙ্গের ভিতরে ৬০ মিটার গভীরে ৪১ জন শ্রমিক ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকা পড়েন। তারপর থেকে ওই শ্রমিকরা সুড়ঙ্গেই ১৫ দিন ধরে আটকে আছেন।