Advertisment

'বাড়ি-জমি নিয়ে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিন', টানেল দুর্ঘটনায় প্রশাসনের প্রতি বাড়ছে ক্ষোভ

উত্তরকাশীর সিল্কয়ারায় নির্মাণাধীন টানেল ভেঙে পড়ার পর কেটে গিয়েছে নয় দিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
uttarkashi tunnel collapse, uttarkashi tunnel collapse news, Rescue operation, Tunnel crash, Workers protest, Silkyara tunnel, district uttarakhand, Uttarakhand CM, Pushkar singh dhami, NHIDCL",

উত্তরকাশীর সিল্কয়ারায় নির্মাণাধীন টানেল ভেঙে পড়ার পর কেটে গিয়েছে নয় দিন।

উত্তরকাশীর সিল্কয়ারায় নির্মাণাধীন টানেল ভেঙে পড়ার পর কেটে গিয়েছে নয় দিন।  এখনও পর্যন্ত টানেলে আটকে পড়া ৪১ জনের মধ্যে একজনকেও নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।  এদিকে সময় যত গড়িয়েছে প্রশাসনের প্রতি শ্রমিক পরিবারের ক্ষোভ ততই বাড়ছে।

Advertisment

'আমার বাড়ি-জমি নিয়ে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনুন'

প্রয়োজনে বাড়ি ও জমি নিয়ে নিন, কিন্তু আমার ছেলেকে নিরাপদে ফিরিয়ে দিন।  প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে এমনই আবেদন জানিয়েছেন শ্রমিক পরিবারের তরফে।

শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন যে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে পাইপ লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হলেও তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।  

রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে  শ্রমিকদের উদ্ধারে ইন্দোর থেকে একটি নতুন মেশিন আনা হয়েছে। এখন অনুভূমিকভাবে অর্থাৎ সামনের দিক থেকে ড্রিলিং করার পরিবর্তে ছিদ্র করা হচ্ছে উল্লম্বভাবে অর্থাৎ ওপর থেকে যাতে সহজেই ধ্বংসাবশেষ সরানো যায়।

রবিবার টানেলে ২৪ মিটার গর্ত তৈরি করা হয়। তবে এটি অর্ধেকও নয়, তাই দাবি করা হচ্ছে শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে এখনও অন্তত ৪-৫ দিন সময় লাগতে পারে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপদেষ্টা

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুর্ঘটনার সপ্তম দিনে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) উপসচিব মঙ্গেশ ঘিলদিয়াল এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের স্পেশাল ডিউটি অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করতে সুড়ঙ্গের ডান ও বাম অংশে আলাদা আলাদা সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে যাতে শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া যায়। এ জন্য খনন কাজ শুরু হয়েছে।

পাইপ দিয়ে অক্সিজেন ও খাবার দেওয়া হচ্ছে

অক্সিজেনের পাশাপাশি সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পাইপের মাধ্যমে খাবার ও ওআরএস পাঠানো হচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানেল নির্মাণ প্রকল্পে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবার অভিযোগ করেছে, দুর্ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পরিবারের সদস্য থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের থাকার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

দীপাবলির দিন হঠাৎ করেই সুড়ঙ্গটি ভেঙে পড়ে

১২ ই নভেম্বর (রবিবার) দিওয়ালির দিন, একটি ভূমিধসের পরে নির্মাণাধীন টানেলটি ধসে পড়ে, যাতে ৪১ জন শ্রমিক টানেলে আটকে পড়েন। টানেলটি চারধাম প্রকল্পের অংশ, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রীর সাথে সংযোগ বাড়ানোর জন্য নির্মাণ করা হচ্ছিল।

Uttarakhand
Advertisment