Advertisment

মেয়ের মাথা কেটে, হাতে ঝুলিয়ে পুলিশ স্টেশনে বাবা! নৃশংসতায় স্তম্ভিত দেশ

মাথা কেটে তা হাতে ঝুলিয়ে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, আরেক হাতে ছিল জয়ের 'ভিক্টরি' সাইন। সোশাল মিডিয়ায় মুহুর্তে ভাইরালও হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

'কুপুত্র যদি বা হয়, কুমাতা কদাপি নয়'! উত্তরপ্রদেশে কিন্তু সেই উপনিষদ বাক্য খাটছে না। বরং একের পর এক নৃশংস ঘটনায় কালিমালিপ্ত হচ্ছে যোগীরাজ্যে। মেয়ের মাথা কেটে তা হাতে ঝুলিয়ে পুলিশের কাছে নিয়ে গেল বাবা। নৃশংসতায় যা নজিরবিহীন।

Advertisment

কিন্তু কী অপরাধে মেয়েকে এমন শাস্তি দিলেন বাবা? ৪৫-এর অভিযুক্তের কথায় এক যুবকের সঙ্গে নিজের কিশোরী মেয়েকে 'আপত্তিজনক' অবস্থায় দেখে ফেলেন। এরপর মাথা ঠিক রাখতে না পেরে মাথা কেটে তা হাতে ঝুলিয়ে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, আরেক হাতে ছিল জয়ের 'ভিক্টরি' সাইন। যে ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় মুহুর্তে ভাইরালও হয়।

ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে ভিডিওতে সর্বেশ কুমার নামের ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তিনি তাঁর মেয়ের মাথা কাটে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে। মেয়ের প্রেম নিয়ে অখুশি থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ভিডিও ক্লিপে বলতে শোনা যায়, "এটি আমার মেয়ের মাথা। আমি কেটেছি। আরেকজনকে পায়নি। পেলে ওকেও খুন করতাম। আমি দেখেছি ওকে ওই অবস্থায়…ধারালো অস্ত্র দিয়েই মেরেছি। বাকি দেহ ঘরে আছে।"

এরপরই সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। হারদৈ জেলার অঅতিরিক্ত পুলিশ সুপার কপিল দেও সিং বলেন, "একজন ব্যক্তি যার নাম সর্বেশ তাঁকে গলা কাটা মুণ্ড নিয়ে রাস্তায় দেখা যায়।আমরা সেখানেই থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। ঘটনা জাতে চাই। এরপর থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

উর্ধতন এক পুলিশকর্তা জানান কিশোরীর মদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শীঘ্রই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হবে তাঁকে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Murder
Advertisment