যে সব দেশে করোনা বাড়ছে, সেই দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আরটি-পিসিআর-সহ ফর্ম পূরণ, টিকার বিশদ বিবরণ বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই চিন-সহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা বিমান যাত্রীদের জন্য ধারাবাহিক করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী কয়েক সপ্তাহ পরিস্থিতিটা বেশ বুঝেশুনেই চলতে চায় কেন্দ্র।
যে ভেরিয়েন্ট চিনে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, তা ভারতে বিমানপথে ঢুকতে পারে। সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই আপাতত বেশ কিছুদিন রীতিমতো বুঝেশুনে চলতে চায় মোদী সরকার। বিধি কতটা কঠোর করা হবে, তা আপাতত পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী ঠিক হবে বলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এখনও কোভিড চলে যায়নি। তাই নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। যে ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে ব্যাপক নজরদারি চালানোর কথা ভাবা হয়েছে।
আর, এই নজরদারি বাড়াতেই লাগাতার করোনার স্যাম্পেল টেস্টের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি, জনবহুল স্থানে দূরত্ববিধি মান্য করা, মাস্ক পরা, করোনার টিকাকরণ এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার ওপরও জোর দেওয়ার কথা কেন্দ্র জানিয়েছে। রাজ্যগুলোর পাশাপাশি, এই সব বিধি পালনের কথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকেও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইংরেজি বছরের শেষ লগ্ন চলে এসেছে। এই সময়টায় দেশবাসী বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে দূরত্ববিধি মান্য করা, মাস্ক পরার মত বিষয়গুলোতে জোর দেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর কোভিড পর্যালোচনা বৈঠক, নেওয়া হল কী কী সিদ্ধান্ত?
সরকারের কাছে একটাই আশার কথা যে চিনে করোনার যে ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা এদেশেও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। কিন্তু, ইতিমধ্যে দিল্লিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেটা করোনার কারণে। কিন্তু, সেটা চিনের ভেরিয়েন্টে কি না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Read full story in English