করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। দেশের একাধিক রাজ্য থেকে গতকাল পর্যন্ত সাড়ে তিনশোর বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। ওমিক্রন আক্রান্ত ১৮৩ জনকে নিয়ে একটি বিশ্লেষণ করেছে কেন্দ্র। এই বিশ্লেষণের উপর ভর করে কেন্দ্রের স্পষ্ট বক্তব্য, শুধুমাত্র ভ্যাকসিনেই করোনা এড়ানো যাবে না, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে মাস্ক পরা ও অন্য কোভিড বিধি মেনে চলতেই হবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের চালানো ওই বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের ৯ জনই করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন। চোখ কপালে তোলার মতো চাঞ্চল্যকর এই বিশ্লেষণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নিলেই রেহাই নেই। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে বাড়ির বাইরে পা রাখলে নিয়মিত মাস্ক পরা জরুরি। এছাড়াও করোনা এড়াতে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে চালানো বিশ্লেষণের এই রিপোর্টটি পেশ করেছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। রিপোর্টে উল্লেখ, ওমিক্রন আক্রান্ত ২৭ শতাংশ রোগীরই বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। স্বাভাবিকভাবে অন্য কারও থেকে তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণের তত্ত্বও ওড়ানো যাচ্ছে না।
সাম্প্রতিক ওই বিশ্লেষণে আরও দেখা গিয়েছে, ৮৭ জনের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে তিনজন আবার বুস্টার ডোজও নিয়েছিলেন। তবে ওমিক্রন আক্রান্ত ৭৩ জন কীভাবে টিকা নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। আক্রান্ত বাকি ১৬ জন এখনও টিকা নেওয়ার যোগ্য হননি।
আরও পড়ুন- বেশি মারাত্মক এবং সংক্রামক ওমিক্রন! এখনই গা-ছাড়া মনোভাব নয়: কেন্দ্র
দেশের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডক্টর ভিকে পল বলেন, ''ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের পরিবারের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এটি স্পষ্ট যে এটি পরিবারে ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য। একজন ব্যক্তি বাইরে থেকে সংক্রমণ নিয়ে আসেন, কারণ তিনি মাস্ক পরেন না। তিনিই বাড়ির অন্যদেরও সংক্রমিত করছেন। ওমিক্রনে এই ঝুঁকি বেশি। এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।''
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন