অতিমারীকে হারাতে ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘অতিমারী পরবর্তী সময়ে জীবনযাপন অতটা সহজ হবে না। ঠিক যেমনটা অতিমারীর আগে ছিল। এই অতিমারী মানুষকে বিষাদ দিয়েছে, আর্থিক দুর্গতি দিয়েছে। কমবেশি সব রাষ্ট্রই এই অতিমারীতে আক্রান্ত।‘
তাঁর মত, ‘সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ আমাদের ভ্যাকসিন আছে। যা মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং অতিমারীর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করবে।‘ এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি গবেষক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ জানান। পাশাপাশি করোনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মী হয়ে বার্তাও পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, করোনা অতিমারী কেড়েছে বহু মানুষকে। তেমনই বহু সন্তানের মাথার উপর থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাবা-মায়ের স্নেহের হাত। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা দেশে এই অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ অনাথ করেছে ৫৭৭ শিশুকে। গত ৫৫ দিনের এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভিড অনাথদের দত্তক নেওয়ার আবেদনের হিড়িক পড়তেই এই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে মন্ত্রক। প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিভিন্ন জেলাস্তরে রিপোর্ট নিয়ে কোভিড অনাথদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে ৫৭৭টি শিশু কোভিডে বাবা-মাকে হারিয়েছে। দিল্লিতে একটি শিশু রয়েছে গত ৫৫ দিনের পরিসংখ্যানের তালিকায়।
তবে কোন রাজ্যে কত অনাথ রয়েছে তা নিয়ে কোনও পৃথক তথ্য দেয়নি মন্ত্রক। স্মৃতি ইরানি টুইট করে জানিয়েছেন, “কোভিডের ছোবলে বাবা-মা হারানো শিশুদের সবরকম সাহায্য ও সুরক্ষা দেবে সরকার। আমরা প্রত্যেক জেলাকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেব এই অনাথ শিশুদের দেখভালের জন্য। জেলাশাসক মারফৎ শিশুসুরক্ষা প্রকল্পে এই অর্থ প্রদান করা হবে। আমাদের লক্ষ্য, কোনও শিশুর যেন ক্ষতি না হয়।”