দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২-৩ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমিক্রন কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলতে পারে এই সময়ের মধ্যেই, এমনই মনে করেন AIIMS অধিকর্তা ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। ভাইরাসের নয়া প্রজাতির মোকাবিলায় করোনার টিকা তৈরির ক্ষেত্রেও কিছু বদল আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডক্টর গুলেরিয়া।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি। ওমিক্রন মোকাবিলায় থর-হরি কম্প দশা একাধিক দেশের। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ভারতেও থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। নতুন করে রাজধানী দিল্লি-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ওমিক্রনকেই দায়ী করছেন একাংশের বিশেষজ্ঞরা।
AIIMS অধিকর্তা ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, করোনা টিকাগুলি তৈরির ক্ষেত্রেও এবার বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে। ওই টিকা যাতে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলায় সুরক্ষা দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, "প্রতি বছর একটি নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের উৎপাদন এটাই প্রমাণ করে যে ভাইরাল মিউটেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলিকে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব।''
আরও পড়ুন- বাড়ছে সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেট, কোভিড সেন্টারগুলি ফের চালুর তোড়জোড়
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। রাজধানী দিল্লিতেও সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে, ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেটও। রবিবার দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১০৭। গত ৬ মাসে এটাই দিল্লির সর্বাধিক সংক্রমণ। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লির সরকার। রাজধানীর সব কোভিড সেন্টারগুলি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা কেজরিওয়াল সরকারের।
দিল্লিতে শেষবার চলতি বছরের জুন মাসের ২৫ তারিখ সর্বোচ্চ ১১৫ করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছিল। জুনের পর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দিল্লিতে ৩০-৪০ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। তবে গত সপ্তাহ থেকে পজিটিভিটি রেট বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, রাজধানী দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে থাকতে পারে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন