বৃষ্টির আমেজ, বিকেল ঘনিয়ে এসেছে, পেটের নয় মনের খিদেয় অস্থির লাগছে , এমন অবস্থায় চটপটে টক-ঝাল জাতীয় জিনিসই মুখে রোচে। তার নাম ফুচকা। কিন্ত সে সুখের দিন গেল বলে। সাময়িক ভাবে বন্ধ হতে চলেছে ফুচকা বিক্রি। ঠিক সময়ে ব্যবসা না গোটালে আইনি মামলায় জড়াতে পারে আপনার প্রিয় ফুচকাওয়ালা।
ফুচকা প্রেমীদের জন্য এ দুঃসংবাদ অবশ্য আপনার দুয়ারে এসে পৌঁছয়নি এখনও। বর্ষাকালে অস্বাস্থ্যকর ফুচকা বিক্রি হয়- এমন বার্তার জেরে ইতিমধ্যেই ভদোদরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফুচকা বিক্রি। দেশের অন্যান্য প্রান্তেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক। ফুচকায় যে সব উপকরণ ব্যবহৃত হচ্ছে তা অস্বাস্থ্যকর, পুরসভার অভিযান থেকে হাতেনাতে মিলেছে জীবাণুর হদিশ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।
বর্ষাকালে মূলত জলবাহিত রোগ বেশি দেখা যায়। সেখানে ফুচকার প্রধান উপকরণই হল টক জল। ভদোদরা পুরসভা স্বাস্থ্য বিভাগ ফুচকার মধ্যে টাইফয়েড, জন্ডিস এবং পেটের রোগের জীবাণুর নমুনা পেয়েছে। সেই নমুনাকে ভর করেই স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন ফুচকার দোকানে ঢুঁ মেরেছে তারা। সেখান থেকেও মিলেছে নমুনা, যার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফুচকালোভীরা জানলে হায় হায় করবেন যে, ৪০০০ কেজি ফুচকা ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে সমুদ্রের জলে। তবে শুধু তাই নয়, মেখে রাখা ময়দা, পুরনো তেল, পচে যাওয়া আলু, বাসী জল ফেলে দেওয়া হয়। পুরসভা সূত্রে খবর ৫০টি দোকানে হানা দিয়ে ৪ হাজার কেজি ফুচকা, ৩,৩৫০ কেজি আলু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুরসভার তরফে আরও জানানো হয়েছে, বর্ষা না মেটা পর্যন্ত কেউ ফুচকার ব্যবসা করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। "গত কয়েক দিনে ফুচকা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া ও বমি করার প্রমান মিলেছে। যার জন্য একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে"। এমনটাই জানায় ভদোদরা পুরসভা কর্মকর্তা।