দিন দুয়েক আগেই মোষের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের 'বন্দে ভারত' ট্রেন। ওই ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন। এবার মাঝপথেই বিকল হয়ে গেল 'বন্দে ভারত'। ট্রেনের চাকা জ্যাম হয়ে যাওয়ায় দিল্লি-বারাণসী 'বন্দে ভারত' এক্সপ্রেস যাত্রাপথে বন্ধ হয়ে গেল।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই ট্রেনের যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য শতাব্দী এক্সপ্রেস পাঠালেন রেলকর্তারা। এই ব্যাপারে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, ফ্ল্যাট টায়ারের জন্য এই সমস্যা হয়েছে। যদিও ট্রেনটি সময়মতো সকাল ৬টায় নয়াদিল্লি স্টেশ থেকে ছেড়েছিল। কিন্তু, ৯০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের খুরজা স্টেশনে পৌঁছনোর পর এর চাকা জ্যাম হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত থমকে যাওয়া দিল্লি থেকে পাঠানো হয় শতাব্দী এক্সপ্রেস। বেলা ১২টা ৪০ নাগাদ ট্রেনটি খুরজায় পৌঁছয়। বন্দে ভারতের ১,০৬৮ জন যাত্রীকে শতাব্দী এক্সপ্রেসে চাপিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় দিল্লিতে। এই ব্যাপারে এক বিবৃতিতে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, 'বারাণসীগামী বন্দে ভারত ট্রেনের (ট্রেন নম্বর ২২৪৩৬) যাত্রা বন্ধ করতে হয়েছে। উত্তর-মধ্য রেলওয়ের দনকউর ও ওয়ার স্টেশনের মাঝে এই ট্রেনের সি-৮ কোচের ট্রাকশন মোটরের বিয়ারিংয়ের সমস্যা দেখা দেয়। তার ফলেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে।'
আরও পড়ুন- ‘ক্লাস নাইন পাসও মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছে,’ এবার সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন পিকে-ও
রেল মন্ত্রক বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, এনসিআর টিমের সাহায্যে ট্রেনের বিয়ারিং জ্যাম সারানো হয়েছে। তবে, ৮০ মিলিমিটার ফ্ল্যাট টায়ারের জন্য মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন খুরজা পর্যন্ত যেতে পেরেছে। কেন এই যাত্রা বাতিল করতে হল, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কোচের ত্রুটি ধরা পড়েছে, তা সারানোর জন্য মেনটেন্যান্স ডিপোতে নিয়ে আসা হয়েছে বলেই জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।
রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি স্বাভাবিকভাবেই সকাল ৬টা ৩৮ নাগাদ উত্তর-মধ্য রেলের দাদরি স্টেশন অতিক্রম করেছিল। যখন এই ট্রেন ১৪৬ নম্বর লেভেল ক্রশিং অতিক্রম করে, তখনই গেটম্যানের চোখে পড়ে যে সাত নম্বর কম্পার্টমেন্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তখনই গেটম্যান সেই কথা ঊর্ধ্বতন কর্তাদের জানিয়েছিলেন।
Read full story in English