সাপ ধরার রাজা হিসাবে কেরলে পরিচিত ভাভা সুরেশ। সেই সাপের কামড়েই জীবন সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। বিষধর কোবরার দংশনে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন সুরেশ। চলছিল চিকিৎসা। শেষ পর্যন্ত সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সর্প উদ্ধারকারী ভাভা সুরেশ। বাড়ি ফিরে সুরেশ জানিয়েছেন যে, এটা তাঁর 'দ্বিতীয় জন্ম'।
সুরেশকে ৩১ জানুয়ারি কোবরা দংশন করে। ঘটনার পরপরই তাঁকে কোট্টায়মের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ জন্য রাজ্যের মন্ত্রী ভি এন ভাসাভানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সোমবার সুরেশকে দেখতে হাসপাতাল হিয়েছিলেন মন্ত্রী ভাসাভান।
বাড়ি ফিরে হাসিখুশি মেজাজে ছিলেন ৪৭ বছরের ভাভা সুরেশ। জানাচ্ছিলেন যে, এর আগে ১৬বার তাঁকে সাপে কামড়েছে, কিন্তু পরিস্থিতি এবারের মতো জটিল হয়নি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত ডাক্তারদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুরেশ।তাঁর কথায়, 'আমার প্রত্যাবর্তন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চমৎকার সমন্বয়ের পাশাপাশি জনগণের প্রার্থনার ফল।'
এর আগে, মেডিক্যাল টিম বলেছিল যে সুরেশের শরীর সম্পূর্ণভাবে বিষমুক্ত হয়েছে। সুরেশের জীবনরক্ষায় ৫০বোতলের বেশি অ্যান্টিভেনম লেগেছে। যা স্বাভাবিকের দ্বিগুণ। ৩রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল সুরেশকে।
আপাতত সুরেশের জ্বর আসছে না, অন্যান্য কোন সমস্যাও নেই। ফলে তাঁকে বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড। তবে, সাপের দংশনে তাঁর ডান পায়ের ক্ষতটি এখনও পুরোপুরি সারেনি।
যদিও, সে এখন কারোর সাহায্য ছাড়াই হাঁটতে এবং খেতে পারে। এখন শরীরে সামান্য ব্যথারয়েছে তাঁর। আস্তে আস্তে সেটাও সেরে যাবে বলে আশ্বাস চিকিৎসকদের।
সপা ধরা সুরেশের বাঁ হাতের খেল বলেই সবাই জানত। বহি বিষধর সাপ ধরেছেন তিনি। এ জন্য সমালোচিতও হয়েছেন। পরবর্তীতে সাপ ধরতে সতর্ক হবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে, তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার পর তাঁকে নিয়ে নানা বিরুদ্ধ প্রচার করা হয়েছে।
কোট্টায়ামের কুরিচিতে একটি উদ্ধার হওয়া কোবরাকে বস্তায়বন্দির সময় সেটি ভাভা সুরেশকে দংশন করে। এরপর তাঁকে স্তানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সুরেশের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
Read in English