উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া নির্মীয়মাণ হাইওয়ে টানেলে গত রবিবার থেকে এক সপ্তাহ ধরে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। পাহাড়ের চূড়া থেকে একটি উল্লম্ব সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ভিতরে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মীরা আটকে থাকা ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছনোর পথ খুঁজে চলেছেন। এদিকে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি আজ উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।
এখনও পর্যন্ত টানেলের ভিতরে ৪১ জন আটকে রয়েছেন। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সবাই নিরাপদেই রয়েছেন। দিল্লি থেকে আসা একটি উচ্চ-ক্ষমতার মেশিন ২২ মিটার ছাড়িয়ে গিয়েও ড্রিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপরেই আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে বিকল্প পথ তৈরির চেষ্টা চলছে। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার সময়েও শ্রমিকরা ৫০ মিটারের বেশি পুরু ধ্বংসস্তূপের আড়ালে আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য বিভিন্নরকমভাবে চেষ্টা চলছে।
ধ্বংসাবশেষ সরাতে খোঁড়াখুঁড়ি জারি রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ড্রিল করার এবং শ্রমিকদের বের করার জন্য পাইপ ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথমে দেরাদুন থেকে একটি মেশিন ব্যবহার করে এবং তারপরে দিল্লি থেকে একটি মেশিন এনে এই কাজ করা হচ্ছে।
১২ নভেম্বর গত রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে যমুনোত্রী জাতীয় সড়কে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা এবং দান্দলগাঁওকে সংযুক্ত করার জন্য নির্মাণাধীন টানেলটি ভেঙে পড়েছিল। যদিও প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, আটকে পড়া শ্রমিকরা নিরাপদে রয়েছেন। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
জল সরবরাহের জন্য একটি পাইপের মাধ্যমে তাঁদের খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ করাও হচ্ছে। ডিস্ট্রিক্ট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া ব্যক্তিরা বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের শ্রমিক।