পুলিশ হেফাজতে একদিন কাটানোর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন লেখক-কবি-সমাজকর্মী ভারভারা রাও। সোমবার তিনি শ্বাসকষ্ট বোধ করার পর ভারভারা রাওকে পুনের সাসুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদসংস্থা এএনআই এ খবর দিয়েছে।
এর আগে, রবিবার এলগার পরিষদ মামলায় ভারভারা রাওকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় পুনে আদালত। হায়দরাবাদ হাইকোর্ট ভারভারা রাওকে গৃহবন্দি রাখার যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুনে সিটি পুলিশ।
আরও পড়ুন, ‘দেশদ্রোহীদের আখড়া’ জেএনইউ-এর তীব্র সমালোচনার পরেও টিকিট পেলেন না ভোটের, দল ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক
পুলিশের অভিযোগ, ভারভারা রাও নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় সদস্য এবং তিনি বিভিন্ন বিভিন্ন বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে নেপাল ও মণিপুরে অস্ত্র সংগ্রহ এবং গড়চিরোলির সূরজগড়ে আক্রমণ।
পুনে সিটি পুলিশ গত ২৮ অগাস্ট সিপিআই (মাওবাদী) যোগের অভিযোগে ভারভারার রাওকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় সুধা ভরদ্বাজ, ভার্নন গনজালভেজ, অরুণ ফেরেইরা এবং গৌতম নওলাখাকেও। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ‘‘নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ভারতের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের জন্য ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ফ্রন্ট’ বানানো’’র অভিযোগ করা হয়েছে। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই পাঁচ সমাজকর্মীকে চার সপ্তাহের গৃহবন্দিত্বের নির্দেশ দেয়। সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেইরা এবং ভার্নন গনজালভেজ জামিনের আবেদন করেন। তবে তাঁদের জামিনে ঐবেদন খারিজ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। আপাতত এঁরা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। গত ১ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট গৌতম নওলাখাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তির নির্দেশ দেয়।