ভারভারা রাওকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল পুনে দায়রা আদালত। সংবাদসংস্থা এএনআই এ খবর দিয়েছে। লেখক ও সমাজকর্মী ভারভারা রাওয়ের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ শেষ হয় শনিবার। এলগার পরিষদ কাণ্ডে তিনি অভিযুক্ত। পুলিশের অভিযোগ, সিপিআই (মাওবাদী)-র বিভিন্ন বিভিন্ন বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারভারা রাও। এর মধ্যে রয়েছে নেপাল ও মণিপুরে অস্ত্র সংগ্রহ এবং গড়চিরোলির সূরজগড়ে আক্রমণ।
পুনে সিটি পুলিশ গত ২৮ অগাস্ট সিপিআই (মাওবাদী) যোগের অভিযোগে ভারভারার রাওকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় সুধা ভরদ্বাজ, ভার্নন গনজালভেজ, অরুণ ফেরেইরা এবং গৌতম নওলাখাকেও। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ‘‘নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ভারতের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের জন্য ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ফ্রন্ট’ বানানো’’র অভিযোগ করা হয়েছে। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই পাঁচ সমাজকর্মীকে চার সপ্তাহের গৃহবন্দিত্বের নির্দেশ দেয়। সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেইরা এবং ভার্নন গনজালভেজ জামিনের আবেদন করেন। তবে তাঁদের জামিনে ঐবেদন খারিজ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। আপাতত এঁরা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। গত ১ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট গৌতম নওলাখাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তির নির্দেশ দেয়।
গত ২৫ অক্টোর, হায়দারাবাদ হাইকোর্ট ভারভারার রাওয়ের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। পুনে সিটি পুলিশের ট্র্যানজিট রিম্যান্ডের ওয়ারেন্ট বাতিলের জন্য ভারভারা রাও যে আবেদন করেছিলেন, তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। শনিবার ভারভারা রাওয়ের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ শেষ হতেই এসিপি শিবাজী পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল তাঁকে সেকেন্দ্রাবাদের জওহরনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।