/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/corona-1.jpg)
আতঙ্ক জিইয়ে রেখেছে করোনা।
বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৩০৩ জপন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৫৬৩ জন। এদিকে বাড়তে থাকা সংক্রমণের হাত ধরে দেশে বেড়েই চলেছে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যাও।
এই মুহূর্তে দেশে মোট অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৮০। এর মাঝেই আশার কথা শোনাল INSACOG। INSACOG তার পেশ করা বুলেটিনে উল্লেখ করেছে ভারতে গত দু সপ্তাহে সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও দেশে রিকম্বিন্যান্ট ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। জিনোম সিকোয়েন্সিং অ্যানালিসিস (Genome Sequencing analysis)-এর উপর ভিত্তি করে INSACOG জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনার মিউট্যান্ট প্রজাতি কমই পাওয়া গিয়েছে। তবে বর্তমানে নয়া ভ্যারিয়েন্ট XE এবং XD উপর নজর রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: এক লাফে ৩ হাজার পেরোল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, আরও বাড়ল অ্যাক্টিভ কেস
এমনকি রিকম্বিন্যান্ট ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণও সেভাবে সামনে আসেনি। একজন আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রিকম্বিন্যান্ট ভেরিয়েন্ট XE নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোন কারণ নেই কারণ এই ভ্যারিয়েন্টের ধরণ অনেকটাই ওমিক্রন প্রজাতির মতই। আর XE ভ্যারিয়েন্ট গুরুতর সংক্রমণের কারণ এমন কোন ঘটনা সামনে আসেনি।
বর্তমানে, বিশ্বে দুটি রিকম্বিন্যান্ট ভেরিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে XD এবং XE৷ XD হল ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সিকোয়েন্সে Omicron এর S জিন অন্তর্ভুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে এই নয়া প্রজাতি। অন্যদিকে XE হল ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিএ.১ এবং বিএ.২ সাব-ভেরিয়েন্টের একটি পুনর্মিলন। গত সপ্তাহে, দিল্লি সরকারে তরফে ওমিক্রন বিএ.২-এর একটি উপ-প্রজাতি বিএ.২.১২.১ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন যা নিউ ইয়র্ক থেকে প্রথম রিপোর্ট করা হয়েছিল। এটি এখনও INSACOG দ্বারা নিশ্চিত করা হয়নি। যদিও এব্যাপারে এক সিনিয়ার বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন এই জাতীয় ভ্যারিয়েন্ট যদিও বা নিশ্চিত করা হয় তা হলেও এটি রিকম্বিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট নয়। এটি ওমিক্রন বিএ.২ এর একটি পরিবর্তিত রূপ।