বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে সমর্থন করায় মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে খুন হয়ে যাওয়া রসায়নবিদ উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহের হত্যাকাণ্ডে এক পশু চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হল। ওই পশু চিকিৎসকের নাম ইউসুফ খান বাহাদুর খান। ধৃতের বয়স ৪৪ বছর। তার বিরুদ্ধে ৫৪ বছর বয়সি রসায়নবিদ উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহেকে হত্যার ঘটনায় প্রোরোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিহত উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য প্রচার করেছিলেন এবং সমর্থন করেছিলেন। সেই অভিযোগেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই হত্যাকাণ্ডে ধৃত পশু চিকিৎসক অমরাবতী শহরেই একটি পশু চিকিৎসার কেন্দ্র চালান।
তাকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল অমরাবতী পুলিশ। অমরাবতী শহরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিক্রমশালী বলেন, 'এই খুনের পিছনে নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করাই একমাত্র কারণ বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ধৃত পশু চিকিৎসক একটা পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি কোলহের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন এবং কোলহে যে নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রচার চালাচ্ছে সে কথাও ওই পশু চিকিৎসক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছিলেন বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে।
আরও পড়ুন- ফের খুন! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি এই মর্মান্তিক পরিণতি? তদন্তে পুলিশ
তদন্তকারীরা মনে করছেন ওই পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরই অভিযুক্তরা কোলহেকে খুনের ষড়যন্ত্র করে। সেই কথা মাথায় রেখেই ধৃত পশু চিকিৎসককে এই খুনের ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত পশু চিকিৎসককে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়েছিল।
বিচারক ধৃত চিকিৎসককে ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে এখনও এক অভিযুক্তের সন্ধান চলছে। তাকে গ্রেফতার করা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি বলেই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে সেই দুই ব্যক্তি যারা তৃতীয় হত্যাকারীকে বাইকে চাপিয়ে কোলহেকে খুন করতে এসেছিল বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ২১ জুন রাত্রি দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে খুন করা হয়েছিল কোলহেকে। সেই সময় তিনি নিজের দোকান বন্ধ করে স্কুটারে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। কোলহের ছেলে সংকেত এবং তাঁর স্ত্রী বৈষ্ণবী সেই সময় আলাদা স্কুটারে ছিলেন।
Read full story in English