অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে মোদী সরকারের চাপ বাড়িয়ে একের পর এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ নিয়ে ধর্মসভারও আয়োজন করেছিল ভিএইচপি। কিন্তু হঠাৎই ভোলবদল। লোকসভা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগামী ৪ মাস এ ইস্যুতে কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিএইচপি।
উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ইস্যুতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অযোধ্যায় ‘অ-বিতর্কিত’ জমি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের এহেন পদক্ষেপের পরই ভিএইচপি-র সিদ্ধান্ত বদল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন, রাম মন্দির কি ভোট টানতে পারবে?
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভিএইচপি-র ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার বলেন, ‘‘আগামী ৪ মাস আমরা কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি করব না। কারণ ভোটের মুখে রাম মন্দির নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনকে সকলেই নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে ভাবছেন। তাছাড়া রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। তাই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিলাম।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা এ নিয়ে প্রচার কর্মসূচি করব ঠিকই কিন্তু কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি করব না।’’
আরও পড়ুন, ২৯শেও হচ্ছে না রাম মন্দির মামলার শুনানি
রাম মন্দির নির্মাণ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করেন ভিএইচপি-র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা যদি বিক্ষোভ-আন্দোলন করি, তবে আমাদের বলা হবে যে, আমরা ভোটের আগে একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করছি। আমরা কখনই এই ইস্যুর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়তে চাই না।’’ আগামী ৪ মাস বাদে গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে ভিএইচপি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগেই রাম মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিল ভিএইচপি। এ নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারির কথাও বলেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে শুধু ভিএইচপি নয়, আরএসএস, শিবসেনারাও এ ইস্যুতে মোদী সরকারের চাপ বাড়িয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণে প্রতিশ্রুতি পূরণে মোদী সরকার ব্যর্থ বলে সরব হয় শিবসেনা। মোদী বাহিনীকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে শিবসেনার তরফে বলা হয়, ‘‘আগে মন্দির, পরে ভোট।’’
Read the full story in English