Advertisment

প্রার্থনায় ইকবালের কবিতায় আপত্তি, ভিএইচপির অভিযোগে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক

বহিষ্কৃত শিক্ষক ফারুক আলির দাবি, 'ইকবালের কবিতা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের পাঠ্যক্রমে রয়েছে। সিলেবাসের মধ্যেকার একটি কবিতাই সেদিন প্রার্থনায় গাওয়া হয়।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
headmaster furqan ali vhp

বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক ফরকান আলি।

সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রার্থনায় নাকি গাওয়া হচ্ছে ধর্মীয় গান। প্রতিবাদে সরব বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের অন্দোলনের জেরে অতিসক্রিয় প্রশাসন। তদন্তে কাঠগড়ায় প্রথামিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা। যার জেরে প্রশাসন বহিষ্কার করে সরকারি ওই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারুক আলিকে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বিশালপুরের গয়াশপুরের একটি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের।

Advertisment

'সারে জাহাসে আচ্ছা হিন্দুস্থান হামারা'র স্রষ্টা ইকবাল রচিত 'লাব পেয়ে আতি হ্যায় দুয়া' গানটি প্রার্থনায় গেয়েছিল পড়ুয়া। যা ধর্মীয় গান বলে মনে করে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। তাদের প্রশ্ন নিয়ম অনুশারে জাতীয় সঙ্গীত না গাইয়ে কেন ওই গান গাইতে বলা হবে বাচ্চাদের। যদিও বহিষ্কৃত শিক্ষক আলির দাবি প্রতিদিনই নিয়ম করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় সরাকরি ওই প্রথামিক স্কুলে।

আরও পড়ুন: ‘দেশ আমাদের গ্রহণ না করলে গুলি করে দিক’, বললেন আসামের সাবিত্রী দাস

বিশালপুরের ব্লক শিক্ষা আধিকারিক বহিষ্কার করেন প্রথামিকের প্রধান শিক্ষক আলিকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'ভাইরাল ভিডিও মোতাবেক গয়াশপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে সর্ব গ্রহণযোগ্য প্রার্থনা ব্যাতীত অন্য একটি গান প্রার্থনায় গাওয়ানো হয়েছিল। এর জন্য দায়ী ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক। তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হল। 'এপ্রসঙ্গে পিলভিটের জেলাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, 'জাতীয় সঙ্গীতের বদলে স্কুলে ধর্মীয় গান গাওয়ানো হচ্ছিল। যেটা নিয়মবিরুদ্ধ। শিক্ষকের অন্য কিছু করার ইচ্ছে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হত।'বিশালপুরের বুদিয়াদি শিক্ষা অধিকর্তা দেবেন্দ্র স্বরূপ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে কি হয়নি তার থেকেও বড় কথা কেন মাদ্রাসায় যা গাওয়া হয় প্রার্থনার সময় তা সরকারি প্রাথমিক স্কুলে গাওয়া হবে। এটা নিয়ম বিরুদ্ধ।'

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় সংগঠনে জোর বিজেপির

বহিষ্কৃত শিক্ষক ফারুক আলির দাবি, 'ইকবালের কবিতা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের পাঠ্যক্রমে রয়েছে। সিলেবাসের মধ্যেকার একটি কবিতাই সেদিন প্রার্থনায় গাওয়া হয়। তবুও সেদিন জেলাশাসকের অফিসের বাইরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দেখায়। আমার বহিষ্কারের দাবি করেন। বলে রাখি পড়ুয়ারা কিন্তু ওই গান গেয়ে 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগানও দিয়েছিল।'

পরিষদের প্রধান অম্বরীশ মিশ্রের কথায়, 'মাদ্রাসার কবিতা সরকারি স্কুলে গান হিসাবে গাওয়ানো হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবি জানাই। সরকারি স্কুলে নিয়ম বিরুদ্ধ কোনও কাজ করা চলবে না।'

Read the full story in English

national news
Advertisment