সুপ্রিম কোর্টকে দু'ভাগে বিভক্ত করার পক্ষে সওয়াল করলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। মামলার চাপে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার ফলে ভুগছেন বিচারপ্রার্থীরা। তাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সাংবিধানিক মামলা এবং আপিল মামলার জন্য দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রস্তাব রাখলেন নাইডু। এছাড়া, মামলার দ্রুত নিস্পত্তির জন্য শীর্ষ আদালতের চারটি আঞ্চলিক বেঞ্চ তৈরির পক্ষেও মত দিয়েছেন তিনি। প্রয়াত স্বনামধন্য আইনজ্ঞ পি পি রাও-এর একাধিক লেখা সংকলিত করে তৈরি হওয়া একটি বই প্রকাল অনুষ্ঠানে শনিবার দিল্লিতে এই প্রস্তাব রেখেছেন উপরাষ্ট্রপতি। এই অনুষ্ঠানের পরে বেঙ্কাইয়া নাইডুর দফতর থেকে সংবিধানের ১৩০ ধারা উল্লেখ করে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এ জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই। পরীক্ষামুলকভাবে সুপ্রিম কোর্টের আঞ্চলিক বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে সংসদের আইন ও বিচার বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে সুপারিশও করেছেন উপরাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, অতীতে বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্টকে খণ্ডিত করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে স্বয়ং শীর্ষ আদালতই। কমিশনের ২০০৯ সালের অগাস্ট মাসের সুপারিশে বলা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ দিল্লিতে থাকবে এবং হাইকোর্টগুলির রায় থেকে উঠে আসা যাবতীয় আপিল মামলার নিস্পত্তির জন্য দিল্লি (উত্তর), চেন্নাই/হায়দরাবাদ (দক্ষিণ), কলকাতা (পূর্ব) এবং মুম্বই (পশ্চিম)-তে সুপ্রিম কোর্টের আঞ্চলিক বেঞ্চ থাকবে। এই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতিক্রমে (ফুল কোর্ট) খারিজ করে দিয়েছিল। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি রোহিংটন এই নরিম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল এবাং একাধিক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে সরকারকে আরও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধও এদিন জানিয়েছেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। এ জন্যও বিচারপ্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
Read the full story in English