কিংফিশার এয়ারলাইন্সের আর্থিক সংকটের মধ্যেও বিজয় মাল্য ফ্রান্স, ব্রিটেনে কোটি কোটির সম্পত্তি কিনেছেন, এমনই দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে বিজয় মাল্য ব্রিটেন ও ফ্রান্সে ৩৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন। সেই সময়ই তার সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের আর্থিক সংকটের মধ্যে ছিল।
বিজয় মাল্যের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পুর্ণ চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সিবিআই জানিয়েছে যে বিজয় মাল্য ২০১৫-২০১৬ সালে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে ৩৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেন। সেই সময় কিংফিশার এয়ারলাইন্স প্রবল আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল।
সিবিআই, তার চার্জশিটে উল্লেখ করেছে যে বিজয় মাল্য ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে ৩৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন, যখন তার কিংফিশার এয়ারলাইনস নগদ সংকটে ভুগছিল। বিজয় মাল্য ৯০০ কোটি টাকার বেশি আইডিবিআই ব্যাঙ্ক-কিংফিশার এয়ারলাইন্স ঋণ খেলাপি মামলায় অভিযুক্ত। সিবিআই এর তদন্ত করছে।
সিবিআই পূর্ববর্তী চার্জশিটে ১১ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি, তদন্ত সংস্থা আইডিবিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত’র নামও চার্জশিটে উল্লেখ করে। তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করেছে যে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তার পদের অপব্যবহার করে, ষড়যন্ত্র-এ জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৭ সালে মাল্যর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে তিনি অনায়সেই ব্যাঙ্ক ঋণ মিটিয়ে দিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি।
চার্জশিট অনুসারে, দাশগুপ্ত তার অফিসিয়াল পদের ‘অপব্যবহার’ করেছেন এবং ২০০৯ সালের অক্টোবরে ১৫০ কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদী ঋণ (এসটিএল) অনুমোদন ও বিতরণের ক্ষেত্রে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক এবং বিজয় মাল্য’র সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। সিবিআই ছাড়াও, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)ও মালিয়ার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে। ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি, মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালত মালিয়াকে 'পলাতক' বলে ঘোষণা করে।
বিজয় মাল্য’র সংস্থার কাছ থেকে দেশের ব্যাঙ্কগুলির ন’হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বিপুল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত মালিয়া ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছে। বিজয় মাল্য আইডিবিআই ব্যাঙ্ক-কিংফিশার এয়ারলাইনস ঋণ খেলাপি মামলাতেও যুক্ত যার তদন্ত চালাচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।