Advertisment

আদালত ঘরে ফেরাচ্ছে শবরীমালায় প্রবেশ করা কনকদুর্গাকে

১৫ জানুয়ারি শবরীমালা থেকে ফিরলে স্বামী এবং স্বামীর পরিবার তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি। শাশুড়ির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন কনকদুর্গা। তাঁর বিরুদ্ধেও পাল্টা হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন কনকদুর্গার শাশুড়ি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shabarimala, kanakdurga

শবরীমালা থেকে ফেরার পরই বাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি কনকদুর্গাকে

সুপ্রিম রায়কে মাথায় নিয়ে শবরীমালা মন্দিরে পা রেখেছিলেন ওঁরা। হাজারো বিক্ষোভ-অশান্তির মধ্যেই আয়াপ্পা দর্শন করেছিলেন কনকদুর্গা এবং বিন্দু। তারপর থেকেই বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ওঁদের। কনকদুর্গার স্বামী তাঁকে বাড়িতে ঢুকতেই দেননি এতদিন। অবশেষে কেরালার মল্লপুরমের গ্রামীণ আদালতের হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরবেন কনকদুর্গা।

Advertisment

সব বয়সের মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের সুপ্রিম রায়ে ভরসা করেই চলতি বছরের ২ জানুয়ারি মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন বিন্দু এবং কনকদুর্গা। ১৫ জানুয়ারি শবরীমালা থেকে ফিরলে স্বামী এবং স্বামীর পরিবার তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি। শাশুড়ির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন কনকদুর্গা। তাঁর বিরুদ্ধেও পাল্টা হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন কনকদুর্গার শাশুড়ি।

আরও পড়ুন, গান্ধীজির কুশপুতুলে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার পূজা শকুন পাণ্ডে

শবরীমালা থেকে ফেরার পর তাঁকে মহিলা এবং শিশুদের এক শেল্টার হোমে থাকতে হয়েছে। স্বামী এবং দুই কন্যার সঙ্গে তাঁকে থাকতে দেওয়া হোক, এই মর্মে কনকদুর্গা আবেদন করেছিলেন আদালতে। মঙ্গলবার গ্রাম ন্যায়ালয় কনকদুর্গাকে ঘরে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। চূড়ান্ত রায় জানানো হবে ৫ মার্চ।

>কনকদুর্গার ভাই ভরত জানিয়েছেন কনকদুর্গার স্বামী , দুই মেয়েকে নিয়ে অন্য ভাড়া বাড়িতে চলে গিয়েছেন। "আমরা চাই দীর্ঘ দিনের রীতি অস্বীকার করে দিদি যে মন্দিরে প্রবেশ করেছিল, তাঁর জন্য ও ক্ষমা চাক। ওঁর স্বামী ওঁর সঙ্গে থাকতে চান না, তাই আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা জেলা আদালতে আবেদন জানিয়েছি"।

প্রসঙ্গত, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮-এর ঐতিহাসিক রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বুধবারেই আবেদন গ্রহণ করবে সুপ্রিম কোর্ট। ৫৬ টি আবেদনের শুনানির দায়িত্বে থাকবে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি আর এফ নারিম্যান, বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা  এবং বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ।

Read the full story in English

Sabarimala
Advertisment