/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/cats-83.jpg)
বঙ্গে বিজেপির আজকের এই উত্থানের পিছনে মানুষটির কৃতিত্ব ছিল বিরাট!
নিজের গাড়ির চালককে যৌননিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগে এবার এফআইআর দায়ের হল প্রাক্তন বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যর বিরুদ্ধে। রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভাণ্ডারিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত প্রধান অভিযুক্ত পুলকিত আর্যর বাবা এই বিনোদ আর্য। তিন সপ্তাহ আগে বিনোদ আর্যই তাঁর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে পৌরি জেলে যাওয়ার পথে নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।
এরপর মঙ্গলবার বিনোদ আর্যর বিরুদ্ধে হরিদ্বারে এফআইআর দায়ের হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়িচালককে যৌননিগ্রহ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্যাতিত গাড়িচালকের বয়স ২৫ বছর। আর, অভিযুক্ত বিনোদ আর্যর বয়স ৬৭ বছর। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়িচালক এসপি অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদ্বারের জ্বালাপুর থানায় বিনোদ আর্যর বিরুদ্ধে ৩৭৭ ধারায় (অপ্রাকৃতিক অপরাধ), ৫১১ ধারায় (যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে এমন অপরাধ করার চেষ্টা), ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা), ৩২৩ ধারা (ইচ্ছাকরে আঘাতের চেষ্টা), ৫০৪ ধারা (ইচ্ছাকরে আঘাত ও শান্তিভঙ্গের চেষ্টা), ৫০৬ ধারা (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন)- অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে জাওয়ালপুর থানার অফিসার আরকে সাকলানি জানান, ওই গাড়িচালককে বিনোদ আর্য ওএলএক্সের মাধ্যমে নিয়োগ করেছিলেন। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেই কারণে, তাঁকে হামেশাই গাড়িতে যাতায়াত করতে হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই বিনোদ আর্যর গাড়িচালকের প্রয়োজন হয়েছিল।
আরও পড়ুন- সীমান্তে চিনের আগ্রাসন নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা, সরকারপক্ষ আলোচনা এড়ানোয় প্রতিবাদ বিরোধীদের
এই ব্যাপারে সাকলানি বলেন, 'বিনোদ আর্যকে হামেশাই পৌরি জেলে যেতে হয়। সেই জন্য তাঁর গাড়িচালকের দরকার হয়। বিনোদ নিজের হরিদ্বারের বাড়িতেই গাড়িচালককে থাকার ঘর দিয়েছিলেন। অভিযোগকারীর বয়ান অনুযায়ী, দু'তিনবার বিভিন্ন কাজে বিনোদ আর্য তাঁকে রাতে নিজের ঘরে ডেকেছিলেন। সেই সময় বিনোদ তাঁকে ম্যাসেজ করে দিতে বলেন। আর ম্যাসেজ চলাকালীনই বিনোদ তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলেই অভিযোগ। অভিযোগকারী গাড়িচালক জানিয়েছেন যে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন যে ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। সেই জন্য তখনই পুলিশে অভিযোগ জানাননি।' কিন্তু, পরে এই সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করায় শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন।
Read full story in English