প্রয়াগরাজে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার ভয়ঙ্কর হিংসার সাক্ষী থাকল। পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, উন্মত্ত পড়ুয়ারা গাড়ি জ্বালিয়েছে, পাথর ছুড়েছে। উল্টোদিকে, ক্যাম্পাসে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরদিনও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থমথমে। আতঙ্কে রয়েছেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরাই প্রথমে লাঠিচার্জ করেন, এবং তাঁদের উপর গুলি চালান। যার ফলে হিংসা ছড়ায় ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর অভিযোগ, কিছু অসামাজিক তত্ত্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে গন্ডগোল পাকিয়েছে বহিরাগতরা। সুরক্ষাকর্মীরা তাদের বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
কর্তৃপক্ষর দাবি, হিংসা শুরু করেছে পড়ুয়ারা। প্রথমে ক্যাম্পাসে একটি বাইক পোড়ানো হয়, দুই অধ্যাপকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একটি জেনারেটরে আগুন দেওয়া হয়, ক্যান্টিনেও অগ্নিসংযোগ করা বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন তাওয়াঙে জওয়ানদের ‘পিটাই’ শব্দে তীব্র আপত্তি, সংসদে রাহুলকে ধুয়ে দিলেন জয়শংকর
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটা মানতে নারাজ সুরক্ষাকর্মীরা গুলি চালিয়েছে। পরে রেজিস্ট্রার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা প্রসঙ্গে জানানো হচ্ছে যে, কিছু বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙে ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পাথর ছোড়া, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কাজকর্ম বন্ধ থাকবে।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ছাত্রনেতা বিবেকানন্দ পাঠক ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় সোমবার। পাঠকের দাবি, তিনি ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রক্ষীরা তাঁকে ঢুকতে না দিয়ে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
এর পরই পাঠকের অনুগামীদের সঙ্গে লেগে যায় নিরাপত্তাকর্মীদের। যা পরে হিংসার আকার নেয়। এই ঘটনায় পাঠক গুরুতর আহত হন। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে দলের সাধারণ সম্পাদক।