বুধবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দর্শনার্থীদের লাইন চালু করা নিয়ে পুরী শহরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল 'শ্রী জগন্নাথ সেনা' নামের এক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। লাইন চালু করার নিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন চূড়ান্ত হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিক্ষুব্ধ ভক্তের দল এ দিন দুপুরে ব্যারিকেড ভেঙে মন্দিরের সিংহদ্বারের কাছে চলে যায়। মন্দিরের প্রশাসনিক কার্যালয়েও হামলা চালায় তারা।
মন্দিরের নতুন নিয়ম নিয়ে মন্দির চত্বরের সিংহদ্বারের কাছে থাকা পুলিশদের ওপর হামলা চালানো হয়। এমনকী পুরী শহরের সদর থানাতেও বিক্ষোভ জানায় ভক্তের দল। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়াছুড়ি, টায়ার পোড়ানো, চলতে থাকে। পাথর ছোড়াছুড়িতে আহত হন ন'জন পুলিশ কর্মী। ভক্তদের আক্রমণে ভয়ঙ্কর রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয় মন্দির চত্বরের একাধিক স্থাপত্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন, পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক তেমনটাই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন, শবরীমালা মন্দিরে সমস্ত মহিলাদের অবাধ প্রবেশাধিকার- সুপ্রিম কোর্ট
পরীক্ষামূলক ভাবে গত সোমবার থেকেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তদের লাইনের নিয়ম চালু হয়েছে। তার পরই 'শ্রী জগন্নাথ সেনা' এই নিয়মের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে। শ্রী জগন্নাথ সেনার পরিচালক প্রিয়দর্শন পট্টনায়ককে পুলিশ প্রতিষেধক হিসেবে আটক করার পর থেকে ভক্তদের বিক্ষোভ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছয়। মন্দিরের নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে প্রিয়দর্শন পট্টনায়ক বলেন, এই নিয়ম ভক্তদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে।
প্রিয়দর্শনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ জানাতে থাকে স্থানীয়রা। জেলা এসপি, মন্ত্রী-বিধায়কদের বাসভবন লক্ষ্য করে চলতে থাকে পাথর ছোড়াছুড়ি। বুধবার পুরী শহরের দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবন রীতিমতো ব্যহত হয়। পুরী শহরের কালেক্টর জ্যোতিপ্রকাশ দাস জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।