Advertisment

ফের উত্তেজনা অসম-মিজোরাম সীমান্তে! পুলিশের গুলিতে জখম এক মিজো নাগরিক

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Assam-Mizoram Border Tension

আগে কাছার জেলা সংলগ্ন মিজো সীমান্তে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে।

Assam-Mizoram Border Tension: তিন সপ্তাহ পর ফের উত্তেজনা ছড়াল অসম-মিজোরাম সীমান্তে। অসম পুলিশের গুলিতে জখম এক মিজো নাগরিক। মঙ্গলবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে আইতলাং এলাকায়। আইতলাং নিয়ে দুই রাজ্যের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। অসমের সীমান্ত জেলা হাইলাকান্দি লাগোয়া এই এলাকা। 

Advertisment

কোলাশিব জেলার ডেপুটি কমিশনার এইচ লালথাংলিয়ানা বলেন, ‘ভাইরেংতের তিন যুবক অসমের বিলাইপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে মাংস আনতে গিয়েছিলেন। তখনই গুলি চালায় অসম পুলিশ। সীমান্ত সুরক্ষায় মোতায়েন ছিলেন সেই পুলিশকর্মী। সেই বন্ধুর আমন্ত্রণেই গিয়েছিলেন ওই তিন যুবক।‘ এদিকে, দীর্ঘদিনের সীমানা বিবাদ গত মাসে চরম আকার নিয়েছিল। অসম-মিজোরাম সীমানা বিবাদের জেরে ব্যাপক সংঘর্ষ দিনভর। প্রাণ হারান পাঁচ অসম পুলিশ কর্মী। জনা পঞ্চাশেক পুলিশকর্মী ঘায়েল হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাছার জেলার পুলিশ সুপার নিম্বালকর বৈভব চন্দ্রকান্ত। পায়ে গুলি লেগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

সীমানা বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা টুইটারে এক অপরের উপর দোষারোপ করেছেন। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ও অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্ত টুইট করে “পুলিশকর্মীদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, সাহসী পুলিশকর্মীদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। সাংবিধানিক সীমানা রক্ষার কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।”

অসম সরকারের তরফে পরে পাঁচ পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইটে মিজো পুলিশকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে মিজোরাম পুলিশ লাইট মেশিন গান থেকে গুলি ছুঁড়েছে অসম পুলিশ কর্মীদের উপর। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।” এদিকে, জোরামথাঙ্গা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “গত একবছরে সীমান্তে কোনও গন্ডগোল ছিল না। কিন্তু কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করার পর আবার শুরু হয়েছে।”

আরও পড়ুন ডেমচকে চিনা তাঁবুর হদিশ, ‘ড্রাগন ভূমি’র আগ্রাসন ঘিরে সতর্ক সেনা

জোরামথাঙ্গার দাবি, “শিলংয়ে উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের পর গতকাল আমি ওই এলাকা ঘুরে এসেছি। সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। সোমবার সকালে আসামের আইজিপি ২০০ পুলিশ কর্মী নিয়ে মিজো সীমান্তে আসেন। ঢিলছোঁড়া দূরত্বেই আমাদের মহকুমা সদর, তাই উত্তেজনা বাড়ে। দুই তরফেই গুলিবর্ষণ হয়, তাতেই মৃত্যু হয় অনেকের।” তিনি বলেছেন, হিমন্ত এবং শাহের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Border Dispute Assam-Mizoram Violence
Advertisment