৪৫ বছর পর এই প্রথমবার ইন্দো-চিন সীমান্তে ঝরল প্রাণ। অশান্তির আবহ ছিলই। অবশেষে রক্তক্ষয় হল ভারত-চিন সীমান্তে। চলল তীব্র গুলির লড়াই। এক অফিসার-সহ নিহত দুই ভারতীয় সেনা।পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এই মুহুর্তে সীমান্তে দুই দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক চলছে।
আরও পড়ুন, সীমান্ত সংঘর্ষে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল চিন
সোমবার মধ্যরাতে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের লড়াইয়ে এক উচ্চপদস্ত অফিসার এবং দুই সেনাকে হারায় ভারত, এমনটাই সেনা সূত্রে খবর। সেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে, "গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন দু-পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং হতাহতের মুখোমুখি হতে হয়েছে।" বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "এই অশান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দুই দেশের উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকেরা বৈঠকে বসেছেন।" তবে পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরও বিশদে জানা যাবে।
আরও পড়ুন, চিন সীমান্তে বহাল আলোচনা, শক্তি প্রদর্শনেই আস্থা সেনার?
Violent face-off between Indian and Chinese troops yesterday night with casualties. The loss of lives on the Indian side includes an officer and two soldiers. Senior military officials of the two sides are currently meeting at the venue to defuse the situation. @IndianExpress
— Krishn Kaushik (@Krishn_) June 16, 2020
প্রসঙ্গত, গত মাসে শুরুর দিকে প্যানগং (পূর্ব লাদাখ) এবং নাকু লা (সিকিমের) এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উভয় পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে। সেই থেকেই উভয় সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সেনাবাহিনীর তরফে তখন থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর প্রচুর সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন, ‘কোনও আপস নয়, ভারতের শক্তি কয়েক গুণ বেড়েছে’, চিনকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের
এই ঘটনার পূর্বে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পারে ভারত-চিন সীমান্তে সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত সামরিক শক্তি জোরদার করতে থাকবে ভারত, উচ্চপদস্থ সরকারি সূত্রে এমনটাই খবর ছিল। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখের এই সীমান্তে চিন তার স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করেছে এবং অতিরিক্ত সেনাও মোতায়েন করেছে। সেই আবহে সূত্র বলে, “আমাদেরও আমাদের এলাকায় শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। তবে তারা আলোচনায় বসতে রাজি হবে। তবে আগ্রাসন নয়।” সূত্রের কথায়, “যদি কোনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে দিল্লির অনুমতির দিকে না তাকিয়ে প্রয়োজন অনুসারে সেনা মোতায়েন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করার এমারজেন্সি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে।”
আরও পড়ুন, চিনের পেশিপ্রদর্শনের কারণ কী?
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে ভারত-চীন সীমান্তে সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় অরুণাচল প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলরত ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করেছিল চিন। এরপর ১৯৬৭ সালে নাথু লা-সীমান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছিল।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন