scorecardresearch

সংক্রমণ কমলেও এখনই মাস্ক বর্জন নয়, মত বিশেষজ্ঞদের

বিচ্ছিন্নভাবে দু–একজন মাস্ক পরলে এর সুফল পাওয়া যাবে না।

টিকাকরণ হয়ে গেলেও, এমনকি বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত।
টিকাকরণ হয়ে গেলেও, এমনকি বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর প্রধান একটি শর্ত হল বাড়ির বাইরে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। কারণ, এটি একদিকে নিজের ও একই সঙ্গে অন্যদের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। কিন্তু আমরা অনেকেই এই নিয়ম মানতে চাই না। মনে করি, নিজের যখন করোনা নেই, আশপাশের লোকজনের যখন খুব বেশি করোনা নেই, তাহলে কেন কষ্ট করে মাস্ক পরব?

আসলে বিচ্ছিন্নভাবে দু–একজন মাস্ক পরলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। করোনার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে হলে বাইরে চলাফেরার সময় সবার মুখে মাস্ক থাকতে হবে। না হলে তেমন লাভ হবে না। করোনার সংক্রমণ কমলেও মাস্ক কিন্তু পড়া অবশ্যক জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সংক্রমণ কিছুটা কমতেই আবারও সেই মাস্কহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে চোখে পড়ার মতই। তার একটি কারণ হতে পারে মাস্কের ব্যাপারে গণসচেতনতার অভাব।

আরো পড়ুন :২০২২-এর শেষে উন্নতি হবে করোনা পরিস্থিতি, জানালেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী

তবে একটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে, বছরের শুরুটা খুব সুখের হয়নি। প্রথম সপ্তাহ থেকেই নতুন করে বাড়তে শুরু করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের নয়া রূপ, ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এক জন থেকে আর এক জনে, দ্রুত ছড়াতে থাকে সংক্রমণ। সংক্রমণের হার এত তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকায় চিন্তায় পড়েন অনেকেই।

তবে কি করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়েও বেশ কঠিন হবে এই স্ফীতি, সে প্রশ্ন আসে অনেকের মনেই। এ বার বুঝি কেউই বাঁচবেন না করোনার হাত থেকে— এমন ধারণাও তৈরি হয়। কবে শেষ হবে করোনা? করোনা কি আমাদের মধ্যে থেকে যাবে এনডেমিক হয়েই? এমন নানা প্রশ্নে একাধিক বিশেষজ্ঞের মত আলাদা।

আরো পড়ুন :ওমিক্রনের নয়া উপপ্রজাতি শরীরে গুরুতর প্রভাব সৃষ্টির জন্য দায়ী:গবেষণা

তবে একটি বিষয়ে সকলেই একমত এখনও মাস্ক খোলার মত সময় আসেনি। টিকাকরণ হয়ে গেলেও, এমনকি বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত। ব্রিটেনের মতো এখনই ভারতে মাস্ক না পরে চলাফেরা করার স্বাধীনতা আমরা পাচ্ছি না।

তবে শুধু মাস্ক পরলেই করোনা আটকানো সম্ভব নয়। মাস্ক পরতে হবে নিয়ম মেনে। কোন ধরনের মাস্ক পরছেন, কী ভাবে পরছেন, কতক্ষণ পরছেন এবং খোলার সময়ে কী কী সাবধানতা নিচ্ছেন, সেগুলি সবই করোনা-যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এবং তাঁরা সকলেই ভরসা দিচ্ছেন, এই নিয়মগুলি ঠিকমতো মেনে চললে সংক্রমণের হার কমবেই। অনেক বিশেষজ্ঞই একমত, মাস্ক পরা রীতিমত আগামী দিনের জন্য মানুষকে অভ্যাসে পরিনত করতে ফেলতে হবে। তবেই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে করোনা।

Read in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Virus seems to be on decline but there is no scope for complacency or ending use of masks