অন্ধ্রপ্রদেশে ভোপাল গ্যাস লিক কান্ডের ছায়া। বিশাখাপত্তনমের এলজি পলিমার প্ল্যান্টে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের, গুরুতর অসুস্থ বহু।
লকডাউনে ছাড়ের পর বৃহস্পতিবার সকালে প্ল্যান্ট খোলার পরপরই আচমকাই গ্যাস বেরতে থাকে। প্রায় কিছুক্ষণের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যান কয়েকশো মানুষ, প্রবল শ্বাসকষ্টও শুরু হয় অনেকের। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশু এবং বৃদ্ধরা। ইতিমধ্যে অনেককেই কিং জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগান মোহন রেড্ডি গ্যাস লিকের ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জেলা আধিকেরিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব সেগুলিকেও কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রধান।ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। কারখানাটির প্রায় ৫ কিলোমিটারের বাইরে সকলকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভাইজাগের কালেক্টর ভি বিনয় চাঁদ বলেন, "এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ আধিকারিকেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন।"
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। গোটা ঘটনাটি নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকী বিশাখাপত্তনমের সুরক্ষার বিষয়টিও দেখার জন্যও নির্দেশ দেন। এমনকী গোটা ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করতে ১১টার সময় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদী।
এদিকে এই ঘটনায় নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন অমিত শাহ থেকে রাহুল গান্ধীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বলেন, "ভাইজাগের ঘটনাটি অত্যন্ত অস্বস্তিজনক। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। বিশাখাপত্তনমের মানুষদের মঙ্গল কামনা করি।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন