'যোগীরাজ্য' উত্তরপ্রদেশেই খুন হলেন বিশ্ব হিন্দু মহাসভার নেতা রঞ্জিত বচ্চন। দু'টি বাইকে চড়ে দুষ্কৃতীরা এসে গুলি করে খুন করে তাঁকে। রবিবার সকালে লখনউয়ের হজরতজঙ্গ পুলিশ থানার অন্তর্গত অভিজাত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে খুরতুতো ভাই অদিত্য শ্রীবাস্তবের সঙ্গে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন রঞ্জিত বচ্চন। বাইকে করে এসে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা লখনউয়ের পরিবর্তন চকের কাছে গ্লোব পার্কে তাদের দাঁড় করিয়ে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিশ্ব হিন্দু মহাসভার ওই নেতার। মৃতের ভাইয়েরও হাতে গুলি লাগে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের মোবাইলও ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। কেন হঠাৎ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হল তারই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
লখনউ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) নবীন অরোরা বলেন, 'আদিত্য শ্রীবাস্তবই ফোন করে পুলিশকে জানায় সে ও তাঁর দাদা প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন। পরিবর্তন চকের কাছে কালো শাল মোড়া দুষ্কৃতীরা তাদের পিছন থেকে আটকায় ও পিস্তল বার করে। এরপরই মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ধস্তাধস্তির মধ্যেই বন্দুক থেকে গুলি বেড়িয়ে লাগে রঞ্জিত বচ্চনের গায়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। আদিত্যের বাঁ হাতে গুলি লাগে। আমরা জানতে পেরেছি রঞ্জিত ও তাঁর স্ত্রী কালিন্দি বচ্চন ওসিআর বিল্ডিং-এ থাকতেন।'
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর: স্ত্রী’র কাটা মুণ্ড হাতে পুলিশের কাছে স্বামী
মৃত রঞ্জিত বচ্চন আগে সমাজবাদী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দলের নানা কার্যক্রমেও তাঁকে দেখা যেত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
'২০০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশব্যাপী সমাজবাদী পার্টির 'সাইকেল যাত্রা'য় অংশ নিয়েছিলেন বচ্চন। ভালো কাজের জন্য জাতীয়স্তরে সম্মানিত করা হয়েছিল রঞ্জিত বচ্চনকে-মৃতের স্ত্রী এমনটাই জানিয়েছেন। পরে তিনি বিশ্ব হিন্দু মহাসভা বলে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যার সভাপতি ছিলেন বচ্চন নিজেই। বর্তমানে যেখানে তিনি থাকতেন তা ভারত যাত্রার সময় দেওয়া হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল ও গোরক্ষপুর থানায় এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্ত হবে।' জানিয়েছেন লখনউ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) নবীন অরোরা।
Read the full story in English