Advertisment

‘চোর ডাকাতের আড্ডা, বন্ধ করে দেব বিশ্বভারতী’, বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে বিদ্যুৎ

গত ১৫ মার্চ গুগল মিটে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সঙ্গে একটি বৈঠক ছিল উপাচার্যের। সেই বৈঠকের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Visva-Bharati University, VC

ভাইরাল ভিডিওতে এক অধ্যাপকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শোনা গিয়েছে উপাচার্যের।

ফের বিতর্কে জড়ালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বারবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। এবার সরাসরি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভি‌যোগ। শুধু তাই নয়, তিনি অধ্যাপকদের উদ্দেশে কটূক্তি করেছেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শান্তিনিকেতনে। প্রতিবাদে সরব বাম অধ্যাপক সংগঠন বা বুটা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পড়ুয়া, আবাসিক, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে স্থানীয় বনাম বিশ্বভারতী দ্বন্দ্ব খবরের শিরোনামে এসেছিল। এমনকি, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের প্রতি কটূক্তি করেছেন তিনি। প্রতীচীর জমি বিবাদে চিঠি পাঠানো হয়েছে অমর্ত্য সেনকে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের বিতর্কে তিনি।  

সূত্রের খবর, গত ১৫ মার্চ গুগল মিটে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সঙ্গে একটি বৈঠক ছিল উপাচার্যের। সেই বৈঠকের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও তার সত্যতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা যাচাই করেনি।সেই ক্লিপে শোনা গিয়েছে, বৈঠকের শুরু থেকেই বিদ্যুতের মেজাজ ছিল সপ্তমে। একের পর এক অশালীন মন্তব্য করতেও শোনা যায় তাঁকে। কয়েকজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগও তোলেন। তাঁদের ভিতু বলে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে বিদ্যুতকে। বলতে শোনা যায়, বিশ্বভারতী যাতে বন্ধ হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা আমি করে দিয়ে যাব। আমি কাউকে ধমকি দিচ্ছি না।

Advertisment

অডিওতে বিদ্যুতকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বিশ্বভারতী চোর ডাকাতের আড্ডা হয়ে গিয়েছে। নইলে অনুব্রত মণ্ডল বলতে পারে উপাচার্য পাগল। আর আপনারা সেটা মেনে নেন। আমি আসার পর থেকেই সেই সব চোর ডাকাতদের ধরছি। তাই অনেকের এত অসুবিধা হচ্ছে। আর সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে সবাই চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ বিদ্যুতের। কিন্তু এ ভাবে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেই সেই ক্লিপে সরব হয়েছেন উপাচার্য।

এই বিষয়ে জনৈক আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘উনি এখনই তো বন্ধ করে দিয়েছেন। কিছুরই আর অস্তিত্ব নেই। সব নষ্ট করে দিয়েছেন। নতুন করে আর কী বন্ধ করবেন। ওনার হাতে প্রতিষ্ঠানটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।‘ এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ‌যোগাযোগ করা যায়নি।

visva bharati Bidyut Chakraborty Vice Chancellor
Advertisment