Advertisment

পরিবেশগত ছাড়পত্রই ছিল না সংস্থার, অন্ধ্রের গ্যাস লিক দুর্ঘটনায় নয়া মোড়

এসইআইএএ সেই আবেদন পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে। মন্ত্রকসূত্রে খবর, সংস্থার সেই আবেদনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভোপালের গ্যাস লিকের দুর্ঘটনা এখনও টাটকা আমাদের স্মৃতিতে। বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনমের গ্যাস লিক-কান্ডে ১০ জনের মৃত্যু এবং কয়েকশো মানুষের অসুস্থতায় ফের ফিরল সেই স্মৃতি। এরই মধ্যে নয়া মোড় ঘটনায়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যে নথি পেয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এল জি পলিমারস ইন্ডিয়া সংস্থার কাছে এও পেট্রোকেমিক্যাল প্ল্যান্ট চালানোর বৈধ পরিবেশগত ছাড়পত্র ছিল না।

Advertisment

স্টেট লেভেল এনভায়রন্টমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটি (এসইআইএএ)-কে পাঠানো একটি হলফনামায় সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "কাজ চালিয়ে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে একটি পরিবেশগত বৈধ ছাড়পত্র দেওইয়া হয়েছিল এফিডেফিট করে।" সংস্থার তরফে এও স্বীকার করা হয়েছে যে সেই সময় যে প্ল্যান্ট ছিল সেই মোতাবেক ছাড়পত্র মিললেও পরবর্তীতে প্ল্যান্টের সংখ্যাও বেড়েছে কিন্তু সেক্ষেত্রে তা কতোটা পরিবেশ বান্ধব সেই ছাড়পত্র কিন্তু নেই।

আরও পড়ুন- ভারতে রাসায়নিক দুর্ঘটনা বিষয়ে কী ধরনের সুরক্ষাকবচ রয়েছে?

যদিও সংস্থার তরফে সেই সময় বলা হয়েছিল যে, "ভবিষ্যতে শর্তাবলী লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি করবেন না।" গত বছরই সংস্থাটি প্ল্যান্টটিকে 'এ' ক্যাটেগরিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই "পরিবেশগত ছাড়পত্র" পাওয়ার আবেদন করে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সরকারের কাছে। পরবর্তীতে এসইআইএএ সেই আবেদন পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে। মন্ত্রকসূত্রে খবর, সংস্থার সেই আবেদনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার বিষয়ে জানতে এল জি কেমিক্যালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের তরফে বলা হয় যে, এই মুহুর্তে গোটা পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। সংস্থা আধিকারিকদের সঙ্গে সবরকমভাবে সহায়তা করছে। তাঁরা আরও বলেন, "কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কী কারণে এই দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু সেদিকটিও দেখা হচ্ছে।"

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news
Advertisment